ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল মজুদ রাখার অভিযোগ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৮, ২০:১৭

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে কার্ডধারী জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ না করে মজুদ রাখেন। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হানিফ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ইউএনও তাৎক্ষণিক মৎস্য কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে মৎস্য কর্মকর্তা ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে সাড়ে তিন টন (৫০ কেজি ওজনের ৩৬ বস্তা) চাল মজুদ পেয়ে বিষয়টি ইউএনওকে জানান। অভিযোগে জানা গেছে, ৩০ জন জেলের পুনর্বাসনের জন্য সরকার আপতকালীন সহায়তার চার মাসের জনপ্রতি ১৬০ কেজি চাল দেয়ার নিয়ম থাকলেও ওই চাল কিছু জেলেদের বিতরণ করে বাকি সাড়ে তিন টন চাল মজুদ রাখেন ৬নং টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার। অবৈধ মজুদ চাল জব্দ ও মজুদদার ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে প্রকৃত জেলেদের মাঝে বিতরণ না করে উপস্থিত লোকজনদের মাঝে ওই চাল বিতরণ করা নিয়ে জেলেদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ভুক্তভোগী জেলেরা জানান, প্রকৃত জেলে হয়েও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন আমাদের চাল দেননি। তিনি তার ব্যক্তিগত লোকদের জেলে সাজিয়ে বিভিন্ন সময় চাল বিতরণ করে আসছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক ৩৬ বস্তা চাল (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) ইউপি কার্যালয়ে মজুদ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ৩০ মে জেলেদের চাল বিতরণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। জেলেদের চাল মজুদ রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ জানান, ইউপি সদস্যের অভিযোগে মৎস্য কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হয়। সেখানে চাল মজুদ পাওয়া গেলে চাল বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাল বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, ১০ জন জেলের চাল মজুদ রাখা হয়েছে। অল্প সময়েই এ চাল বিতরণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :