রাইফার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৫:০২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় ডাক্তার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবেনা তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খানের এক রিট আবেদের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি, ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ এনাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এছাড়া ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে ও অবহেলায় মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের নীতিমালা কেন তৈরি করা হবেনা তাও সরকারে কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাসপাতালের অভিযুক্ত ৪ চিকিৎসককে ৪ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন আদালত।

গত ২৯ জুন শুক্রবার চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে মৃত্যু হয় শিশু রাইফার। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পায়।

গত ২৯ মে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ২ বছর ৪ মাস বয়সি শিশু রাইফা। চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান।

এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ।

কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ প্রয়োগ যথাযথ থাকলেও অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশিষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেব কর্তব্যে অবহেলা করেছেন।

রাইফার যখন খিঁচুনি হয় তখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন না।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও ত্রুটি নিয়ে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ১৫০ শয্যার এ হাসপাতালে লাইসেন্স নবায়নে ত্রুটি, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো নিয়োগপত্র না থাকা, প্যাথলজি বিভাগ ও চিকিৎসকের কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হয়।

ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এমএবি/ডিএম