ঈদের আগে খালেদার মুক্তি দাবি বিএনপির

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪১ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সব মামলা প্রত্যাহার করে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

রিজভী বলেন, ‘এখনো বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মেলেনি। একতরফা নির্বাচন করতে শেখ হাসিনার একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসেব তাকে অন্যায় সাজায় বন্দি রাখা হয়েছে।

‘প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আইনি প্রক্রিয়ার নামে আওয়ামী সরকারি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে জুলুম ও অত্যাচার। অবৈধ সরকার নিজেদের নিরাপদ রাখতেই এ জুলুম ও অত্যাচার চালাচ্ছে।’

তবে খালেদা জিয়া বিপন্ন ও অতিষ্ঠ করার জন্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষ দিয়ে নিষ্ঠুরতার যে আবহ তৈরি করেছে এরই মধ্যে বসবাস করেও বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় মনোবল নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সরকারি অন্যায় মোকাবেলা করছেন বলে দাবি করেন রিজভী।

ব্যাপক দুর্নীতি ও রক্তেপাতের ওপর এ সরকার দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এ সরকার দেশকে নিরব নিস্তব্ধ করতেই পছন্দ করে। কথা বলা, প্রতিবাদ সমালোচনা শুনলেই তারা কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারা নির্মূলের নীতি বাস্তবায়ন করছে।’

‘শিশু-কিশোরদের সাথেও প্রতারনা’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের আন্দোলনকে রক্তাক্ত করা হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘রক্তে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের (শিক্ষার্থী) স্কুল ড্রেস। আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে নিরীহ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তাদের জামিন দেওয়াও হচ্ছে না।’

‘আবার প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা পথ দেখিয়েছে। একদিকে প্রশংসা আরেক দিকে দমন-পীড়ন এক অদ্ভুত দ্বিচারিতা। তারা শিশু-কিশোরদের সাথে প্রতারনা করতেও বেপরোয়া।’

‘আদালতের কথা বলে কোটা নিয়েও প্রতারনা’

সব ধরণের কোটা তুলে দেয়ার প্রস্তাব করে সরকার আদালতের রায়ের প্রসঙ্গে কথা বলায়, এটাও সরকারের প্রতারনা হিসেবে দেখছেন কবির রিজভী। বলেন, ‘সচিব পর্যায়ের কমিটি প্রায় সব পর্যায়ের কোটা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে কোটা সংস্কার আরও প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

‘অথচ আদালতের কোনো রায় নেই, পর্যবেক্ষণ আছে। আন্দোলতরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায় না, তারা কোটা সংস্কার চায়। কিন্তু আবারও সব কোটা বাতিল করার প্রস্তাব মানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারও প্রতারণার কৌশল অবলম্বন। এটিও আরেকটি প্রহসন।’

এসময় সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের মাধ্যমে মেধার ওপর গুরুত্বারোপ করতে ছাত্রছাত্রীদের দাবিকে সরকার বারবার অগ্রাহ্য করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/বিইউ/ডিএম