জগন্নাথে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২৮

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, কর্মকর্তা সমিতি, সাংবাদিক সমিতির পক্ষে থেকে একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন করে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এদিকে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে সকাল ১১টায় ‘চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজনুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন। আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট-এ নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরাধীন ছিল। মূলত মুঘল, ইংরেজরা এই দেশ শাসন করত এবং দেশ কিভাবে চলবে তার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের হাতে। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণাঙ্গভাবে কায়েম করেছিলেন। ৭৫’ পরবর্তীতে শুধুমাত্র রাষ্ট্রক্ষমতা দখল হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু তার পরিবর্তে ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের দেশকে আবারও পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করতে চেয়ে ছিল। এখনও তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’

ভিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে তার আদর্শকে শিশুকাল থেকে ধারণ করতে হবে। তবেই আমরা একটি টেকসই উন্নত দেশ পাব।’

এসময় নিরাপদ সড়কের দাবি সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হয়েছিল মূলত যানবাহন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা হচ্ছে, যা অতি শিগগির বাস্তবায়ন করা যাবে। কিন্তু সাথে সাথে যাত্রীদেরও সড়ক চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান মুকুল-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মো. নাজমুল হুদা। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/আইএইচ/জেবি)