স্ক্যানারে খুঁজেও মিলল না গুপ্তধন

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২২:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মাটি খুঁড়ে কিছু না পেয়ে অবশেষে স্ক্যানার দিয়ে গুপ্তধন খোঁজা হয়েছে মিরপুরের সেই বাড়িতে। কিন্তু চার ঘণ্টা ধরে  খোঁজাখুঁজি ব্যর্থ হলো, মিলল না কোনো গুপ্তধন।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর ১০ নম্বরের ওই বাড়িতে স্ক্যানার দিয়ে এই খোঁজাখুঁজির কাজটি করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।

মাটির নিচে গুপ্তধন আছে এমন খবরে মিরপুর ১০ নম্বরের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর টিনশেড বাড়ির দুটি কক্ষের মাটি চার ফুটের মতো খোঁড়া হয় সম্প্রতি। কিন্তু বাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কায় পরে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখা হয়। সিদ্ধান্ত হয় মাটি স্ক্যানিং করার। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টা বাড়ি পাহারায় বসে পুলিশ।

অবশেষে আজ পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে স্ক্যানিং করা হয় ওই বাড়ির মাটি। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজোয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, আজ বুয়েটের প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন  ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল বাকি খান মজলিশ দুটি আলাদা স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করেন। মাটির নিচে কিছু থাকলে দুটি স্ক্যানারের মনিটরে তা উঠে আসত। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি।

পরে গুপ্তধন খোঁজার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে সাত কক্ষের বাড়িটি তার মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এখন থেকে সেখানে আর পুলিশ প্রহরা থাকবে না বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০১০ সালে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাড়িটি কিনেছিলেন বর্তমান  মালিক মনিরুল আলম। বাড়িটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করবেন বলে ভাড়াটেদের চলে যেতে বলেছিলেন। এরপর ১২ জুলাই রাত ১১টার দিকে দুজন লোক বাড়িটিতে ঢোকার চেষ্টা করেন।  তারা এই বাড়ির মাটির নিচে গুপ্তধন রয়েছে বলে জানান। তাদের মধ্যে আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যিার বাড়ি টেকনাফে।

এই তৈয়ব এর আগে ১০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ করেন ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে জানিয়ে। পরে বাড়ির মালিক মনিরুল আলমও সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে থানার অনুরোধে জেলা প্রশাসন বাড়ির মাটি খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/মোআ)