ইয়াবাসহ আটক কাউন্সিলরকে ছেড়ে দিল পুলিশ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৪৩ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫২

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুর রহমান শিপন ও তার কথিত স্ত্রী শ্যামলীকে আটক করেছে পুলিশ।   এসময় ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় আটক শ্যামলীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হলেও কাউন্সিলর শিপনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ক্যাডেট কলেজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। চলমান মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কাউন্সিলর শহীদুর আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের হুলিয়া রয়েছে বলে মির্জাপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে।

গত ২০১৬ সালের ২২ জুন ভোরে কাউন্সিলর শিপন ও তার কথিত স্ত্রী শ্যামলী বেগম, প্রাইভেটকার চালক মিনহাজ উদ্দিনকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর বাইমাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। এসময় ৫০০ পিস ইয়াবাও উদ্বার করা হয়। পরে তার নামে দায়ের করা মামলায় তিনি প্রায় চার মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। আদালতের জামিনের মাধ্যমে তিনি ছাড়া পান।

শুক্রবার রাতে ইয়াবাসহ কথিত স্ত্রীকে নিয়ে আবারো গ্রেপ্তার হন কাউন্সিলর শহীদুর। স্ত্রী শ্যামলীর নামে মাদক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ কাউন্সিলর শিপনকে ছেড়ে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্যামলী বলেন, মোটা অংকের টাকা দেয়ায় পুলিশ কাউন্সিলর শিপনকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্ত আমি টাকা দিতে না পারায় পুলিশ আমার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দিয়েছে।

কাউন্সিলর শিপনকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের তিন কর্মকর্তা স্বীকার করলেও আটকের সময় ও স্থান নিয়ে তারা ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। 

মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, শুক্রবার বিকালে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকা থেকে শ্যামলীকে আটকের পর তার দেহ তল্লাশি করে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পরে শ্যামলীর সহায়তায় ওই স্থান থেকেই কাউন্সিলর শিপনকেও আটক করার কথা জানান তিনি। পরে তাদের নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালানো হয়।

এদিকে অভিযানে অংশ নেয়া টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেলের এএসপি আফসার উদ্দিন খান জানান, রাত পৌনে দশটার দিকে ক্যাডেট কলেজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

অভিযানে অংশ নেয়া মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাতটার কিছু পর গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তাদের আটক করা হয়।

কাউন্সিলর শিপনের বিরুদ্ধে আদালতের হুলিয়া রয়েছে তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)শফিকুল আলম জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেল আফসার উদ্দিন খান বলেন, কাউন্সিলর শিপন আমাদের কাছে রেড লিস্টে রয়েছে। পুলিশের নজরদারিতেও রয়েছে। হুলিয়ার বিষয়ে তার জানা ছিল না বলে তিনি জানিয়েছেন।  

এদিকে আত্মগোপনে থাকা কাউন্সিলর শিপনকে আটকের সময় ও স্থান নিয়ে পুলিশের তিন কর্মকর্তার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর)