আলো আমার আলো

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০৯:০৬

গাজী ইয়াসিনুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

আলোই পৃথিবীতে শক্তির প্রধান উৎস। কিন্তু আলো কী? কী দিয়ে তৈরি? এটা মহাশূন্যে কিভাবে বেগমান হয়? আলোর কী কোন নির্দিষ্ট বেগ আছে নাকি এটি অসীমবেগে চলমান হয়? 

গ্যালিলিও এবং নিউটনই প্রথম বিজ্ঞানী যারা আলো সম্পর্কে সঠিক প্রশ্নগুলো করেন। কোন বিষয় বুঝতে হলে সঠিক প্রশ্ন করতে পারতে হবে। ঐ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলেই বিষয়টি বোঝা যাবে। গ্যালিলিও আলোর বেগ মাপতে পরীক্ষা চালান। কিন্তু তাৎকালীন প্রযুক্তি দিয়ে তিনি আলোর বেগ মাপতে ব্যর্থ হন। 

১৬৭৬ সালে ড্যানিশ জ্যোতির্বিদ রোমের (Olaus Romer) বৃহস্পতির উপগ্রহের গ্রহণ (Eclipse) পর্যবেক্ষণ করে বলেন যে, আলো অসীম বেগে চলে না। তিনি আলোর বেগ মাপার জন্য একটি পদ্ধতি প্রস্তাব করেন। কিন্তু তখন পৃথিবীর আকার জানা ছিল না বিধায় সঠিক ভাবে আলোর বেগ মাপা সম্ভব হয়নি। তবে তার পদ্ধতি সঠিক ছিল। 

১৮৫০ সালে দুইজন ফরাসী পদার্থবিদ (Armand Hipolyte Fizeu & Jean Foucanlt) আলোর বেগ মাপতে সমর্থ্য হন। শূন্যস্থানে আলোর প্রকৃত বেগ, ২,৯৯,৭৯২.৪৫৮ ≈ ৩x ১০৫ (৩,০০,০০০) কি.মি./সেকেন্ড। আলোর বেগ বিভিন্ন মধ্যম যেমন পানি, বাতাস, কাচ এ শূন্যস্থান থেকে কম। আলোর বেগ বলতে শূন্যস্থানে (Vaccum) আলোর বেগ বোঝানো হয়। মহাকাশে (Space) আলোর বেগ শূন্যস্থানের আলোর বেগের সমান বিবেচনা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এজেড)