টুং টাং শব্দে মুখর সিরাজগঞ্জের কামারপল্লী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৩২

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। আর এজন্য ব্যস্ত সময় কাটছে সিরাজগঞ্জের কামারদের। প্রচণ্ড গরমেও টুং-টাং শব্দে মুখরিত কামারপল্লী। ফলে সুদিনের বাতাস বইছে কামার পরিবারগুলোতে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামারপাড়া ততই সরগরম হয়ে উঠছে। আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম তবুও দিন-রাত সমানতালে ছুরি, চাপাতি, দা, বটি, ভোজালি, কুড়াল তৈরি ও শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা।

জেলার রায়গঞ্জের নিমগাছী বাজার, তাড়াশের বাসস্ট্যান্ড, বারুহাস, মহিষলুটি, উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া, বিসিক বাসস্ট্যান্ড, শাহজাদপুরের মনিরামপুর, বেলকুচির সেননগর, কাজিপুরের সোনামুখি বাসস্ট্যান্ড, শহরের কামার পল্লীর কামাররা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে অতিরিক্ত অর্ডার নেওয়া কাজ ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন।

রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছী বাজারের কামার শুভ চন্দ্র জানান, এ বছরে বেশ কাজ পেয়েছেন তিনি। কাজ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে। ছোট ও বড় ছুরি শান দিতে ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তৈরি করা ছোট ছুরি ৫০ টাকা, দা ৩০০, হাসুয়া ১২০ টাকা, বটি ২০০, চাপাতি ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া গ্রামের ক্রেতা জিয়াউল হক ও ইব্রাহিম হোসেন জানান, পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে এসেছি। এবারে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের লোহার পাশাপাশি স্টিলের ছুরি ও চাকু ক্রয় করার চাহিদা বেশি।

সদর উপজেলার বাহিরগোলা কামারপল্লী এলাকার কার্তিক দাস জানান, বর্তমানে কয়লা ও রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় শান দেওয়ার মজুরি ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনেকে শান দিচ্ছেন।

কামার তালেব সরকার জানান, ‘এই ঈদের সময় আমাদের বেশ আয় হয়। এই আয় দিয়েই আমাদের সারা বছর সংসার চালাতে হয়। এজন্য কাজ বেশি থাকায় এই ঈদে সবাই ব্যস্ত থাকেন।’

ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :