দিল্লির ‘লেডি ডনের’ বিরুদ্ধে ১১২ মামলা

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল, ছোটা রাজন, করিম লালা, আবু সালেম, হাজি মাস্তান, অরুণ গাউলি ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ডে পরিচিত নাম। তার চেয়ে কোনও অংশে কম যান না এই নারী। সুপারি নিয়ে খুন, অপহরণ, ডাকাতি, অস্ত্র-মদের কারবার, চাঁদাবাজির মতো শতাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত।

তিনি দিল্লির মহিলা ‘ডন’। আসল নাম বসিরন। অন্ধকার জগতে পরিচিতি ‘মাম্মি’ নামে। পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড। ভারতের ভয়ঙ্করতম পাঁচ নারীর অন্যতম ‘মাম্মি’র খাসতালুক সঙ্গম বিহার। এহেন লেডি ডনই অবশেষে পুলিশের জালে। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্যাং চালানোর পর ৬২ বছর বয়সে গ্রেপ্তার হলেন তিনি।

কীভাবে পুলিশের হাতে এলেন এই লেডি ডন?

বারবার আদালতে হাজিরার নির্দেশ অমান্য করা ‘প্রক্লেমড অফেন্ডার’ বসিরনের সম্পত্তি সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

সঙ্গম বিহার থানায় গোপন সূত্রে একটি খবর আসে, সেই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে সঙ্গম বিহারে নিজের আট ছেলের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। দিল্লি পুলিশের ডিসি সাউথ রোমিল বানিয়া জানিয়েছেন, খবর পেয়েই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। সঙ্গম বিহারের পুলিশ কর্মকর্তা উপেন্দর সিং-এর নেতৃত্বে গোপনে অভিযান চালানো হয়। সূত্রের খবর সত্যি ছিল। জালে ধরা পড়েন বসিরন ওরফে মাম্মি।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আশা করা যায় এ বার মাম্মির গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরাও জালে পড়বেন।

জালে ফেলার চেষ্টা এর আগেও করেছে দিল্লি পুলিশ। খুন, অপহরণ, মারধরসহ সব মিলিয়ে পুলিশের খাতায় ১১২টি অভিযোগ রয়েছে এই লেডি ডনের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিবারই আইনের জাল কেটে আর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন তিনি। অবশেষে মাস সাতেক আগে একটি খুনের পর থেকেই কার্যত হাত ধুয়ে বসিরনের পিছনে পড়ে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এসআই)