গ্রেনেড হামলার রায় সেপ্টেম্বরেই পাওয়ার আশায় আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৫ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২২:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী মাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হবে বলে আশা করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেন, ‘সে রায়েই আমরা দেখতে পাবো কারা ওই ঘটনায় জড়িত অপরাধী।’

রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আয়োজিত আলোচনায় যোগ দেন আইনমন্ত্রী।

বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, যুদ্ধাপরাধী সকলের বিচার হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারও হবে। আর এই রায়ের মধ্য দিযে রাষ্ট্র আরও একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে।’

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলায় অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক গুরুতর আহত হয়।

জোট সরকারের আমলে এই মামলাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা হলেও পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তদন্ত শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর,  জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৫২ জনকে আসামি করে বিচার শুরু হয়। মুজাহিদসহ এই মামলার তিন আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বাকি আসামিদের মধ্যে পলাতক চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হয়নি।

১৪ বছর ধরে চলা এই মামলায় বাকি ৪৫ আসামির মধ্যে ৪৪ জনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এখন চলছে বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের কথা আছে। আর এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনি যুক্তি উপস্থাপন শেষে দেয়া হবে রায়ের তারিখ।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ মামলায় আদালতে ২২৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।’

‘যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলেই রায় দেওয়ার পালা। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আদালত এ রায় দিতে পারব।’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই, এটা সবাই জানে না। কারণ বিএনপির জন্ম ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে। ২১ আগস্ট মামলার তদন্তে অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যেখানে সেসব লোকজনের নাম এসেছে যারা কিনা ৭১ ও ৭৫ সালের ষড়যন্ত্রকারীরাও আছেন।’

বিএনপি যদি জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার চান সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে দেবেন বলেও জানান আনিসুল হক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডে জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলে তারেক রহমান ওই দিন জন্মদিন পালন করত।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৯ আগস্ট/এনআই/ডব্লিউবি)