গাবতলী হাটে গরু বেশি, ক্রেতা কম

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৫:২১ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৩২

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কুরবানির হাটগুলো। রাজধানীর যেসব স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে কুরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে সবগুলোই এখন পশুতে পরিপূর্ণ। তবে হাটে গরুর সংকট না থাকলেও সংকট রয়েছে ক্রেতার।

সোমবার সকালে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, অফিস থাকায় অনেকে সকালে হাটে আসতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

সোমবার সকাল থেকে গাবতলী হাটে পৌঁছেছে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু ভর্তি ট্রাক। মূল হাট গরুতে পরিপূর্ণ। হাটের বর্ধিতাংশেও গরু রাখার জায়গা নেই। গরু রাখা হয়েছে গাবতলী বেড়িবাঁধ সড়কের উভয় পাশে।

হাটে গরুর কোনো সংকট নেই। তবুও শিথিল বিক্রি বাট্টা। তুলনামূলক বাড়তি দামে ছোট আকারের দেশি গরু বিক্রি হতে দেখা গেলেও বিক্রি নেই বড় গরুর।

বিক্রেতারা বলছেন, হাটে দর্শনার্থী আছে, নেই ক্রেতা। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে বিক্রি হবে গরু। এমন প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

পাবনা থেকে আসা গরু বিক্রেতা দেলোয়ার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি ১০টা গরু নিয়া আসছি। বিক্রি করছি দুইটা। ওই দুইটাই ছোট ছিল। বড় গরুর কাস্টমার এখনো বাজারে ঢোকে নাই।’

গাবতলী হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে গরুর পাশাপাশি রয়েছে ক্রেতা। কিন্তু বিক্রেতারা বাড়তি দাম হাকায়, গরু কিনতে বিলম্ব হচ্ছে ক্রেতাদের।

কল্যাণপুর থেকে গাবতলী হাটে গরু কিনতে আসা নাহিদ হাওলাদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হাটে এসেছি তিন ঘণ্টা হয়ে গেলো। এখনো কিনতে পারিনি। যা দাম চাচ্ছে তাতে কি কেনা যাচ্ছে? ষাট হাজার টাকার গরু চাচ্ছে দেড় লাখ, দুই লাখ।’

অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের বাজার মূল্যের সঙ্গে মিল রেখেই তারা গরু বিক্রি করবেন।

কুষ্টিয়া থেকে আগত গরু বিক্রেতা বশির ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাজারে সারা বছর ৫০০ টাকা কেজি মাংস কেনে। আমরা সেই হিসেবেই দাম চাই। খরচ আছে না? গরুর খাওনের দাম কি কম? কাস্টমার দাম কয় ২০০ টাকা কেজি হিসাবে। এই দামে কি গরু দেওয়া যায়?’

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/কারই/এমআর