লঞ্চ ভরতে কতক্ষণ?

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৭ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০৩

বোরহান উদ্দিন, লঞ্চ থেকে

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস শেষ। বিকাল থেকেই মানুষের স্রোত নগর থেকে বাড়িমুখি। দক্ষিণের যাত্রীদের বরাবরের পছন্দের নৌপথেও ভিড় উপচে পড়া। গম গম করছে সদরঘাট।

লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট যে সময় থাকে, ঈদের আগে তা রাখা সম্ভব হয় না। একেককা লঞ্চ আসে, যাত্রী ভর্তি হতে যতটা সময় লাগে, ততক্ষণই ঘাটে থাকে নৌযান।

লঞ্চে যে ধারণক্ষমতা, তা ভরতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা। আর যাত্রীর জন্য কর্মীদের ডাকাডাকি হাকডাক থাকে বরাবর। কিন্তু সেসব নিয়মিত চিত্রও উধাও।

ভিড়তে ভিড়তেই ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া স্পেশাল লঞ্চ ভরে যাচ্ছে দেখতে দেখতেই। আর লঞ্চে উঠা রীতিমতো এক লড়াইয়ের নাম। পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই।

রবিবার দুপুর দুইটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত পটুয়াখালীগামী লঞ্চের জন্য নির্ধারিত বাদামতলী ঘাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দুই ঘণ্টার মধ্যে পটুয়াখালী থেকে রওনা হয়ে ঘাটে আসে এমভি কাজল-৭, এআর খান-১, প্রিন্স অফ রাসেল-৪, কুয়াকাটা-১। প্রত্যেকটি লঞ্চই ঘাটে ভিড়তে ভিড়তে মুহূর্তেই ভরে যেতে দেখা গেছে।

বেলা দুইটার দিকে প্রায় একইসঙ্গে ঘাটে আসে কাজল ও এআর খান লঞ্চ। ঘাটে নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গে যে যেখান থেকে পারছে লঞ্চে উঠে জায়গা করে নিতে ছুটতে দেখা গেছে। ডেকের যাত্রীরাই এমনটা করেছে। কারণ কেবিনের যাত্রীরা লঞ্চে ওঠার পর একটু সময় লাগলেও একে একে যে যার মত কেবিনে ঢুকতে পারছেন।

একই অবস্থা দেখা গেছে এআর খান লঞ্চেও। একাধিক লোক থাকলে লঞ্চ ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন বিছানা নিয়ে দৌঁড়ে ভেতরে গিয়ে জায়হা রেখেছেন। পরে বাকি সদস্যরা গিয়ে সেখানে বসে পড়ছেন।

এই দুটি লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করার আগ মুহূর্তে বাকি দুটি লঞ্চ ঘাটে আসতে শুরু করে। কিন্তু যাত্রীরা ধৈর্য না ধরে কেউ এই লঞ্চগুলোর কার্নিশ দিয়ে হেঁটেই ওই লঞ্চে জায়গা করে নিয়েছেন। কেউ আবার নৌকা দিয়ে গিয়েও ঘাটে আসতে থাকা লঞ্চে জায়গা দখল করেছেন। অনেকেই বেশ ঝুঁকি নিয়ে কোনো মতে সিঁড়ি দিয়ে লঞ্চে উঠেছেন।

লঞ্চের ছাদে যাত্রী নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রায় সব লঞ্চের ছাদেই যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়তে দেখা গেছে। বিশেষ করে চাঁদপুরের তুতুল নামের একটি লঞ্চে পুরো ছাদ জুড়ে যাত্রী দেখা গেছে। কিন্তু এসব বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখা যায়নি।

কাজল লঞ্চের যাত্রী লাকী আক্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করা ঠিক না জেনেও সবাই আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছে। কিন্তু একটু অসাবধানতার কারণে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। সবার উচিত এটা মাথায় রাখা।’

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/বিইউ/ডব্লিউবি