দিনভর মাংস সংগ্রহের পর বিক্রি

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০১৮, ২৩:১৮ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৩৪

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

কোরবানি দিতে পারেননি রাজধানীতে এমন মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়৷ এসব মানুষের ভরসা বিত্তবানরা। বিত্তবানরা তাদের কোরবানি দেয়া মাংসের একটি অংশ বিলিয়ে দেন গরিবের মাঝে। ছিন্নমূল ও গরিবরা এসব মাংস বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে তা দিন শেষে বিক্রি করে দেয়। আর তা কিনে নিতে দেখা যায় নিম্ন মধ্যবিত্তদের; যারা কোরবানি দিতে পারেননি।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে আনা এসব মাংস বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। কোথায় বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে কোথাও ঠিকা।

বুধবার ঈদের দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কুরবানির মাংস বিক্রি করার এমন চিত্র।

মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় এই মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি মূল্যে। প্রতি কেজি মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ থেকে সাড়ে চারশো টাকায়। একইভাবে মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে এলাকার শিয়া মসজিদ মোড়ে। এখানে সকালে দুটি গরু জবাই করা হয়েছে শুধু বিক্রির উদ্দেশ্যে। সকাল থেকেই বিক্রি হয়েছে এই মাংস। কেজি ৫০০ টাকা।

এছাড়া ছিন্নমূলদের কুড়িয়ে আনা মাংস বিক্রি হয়েছে চারশো থেকে পাঁচশো টাকা কেজি দরে।

মাংসের দাম কিছুটা কম ছিল রায়েরবাজার, কামরাঙ্গীচর ও হাজারীবাগ এলাকায়। তিনশো টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হয় এসব জায়গায়। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এসব এলাকার কোথাও কোথাও মাংস বিক্রি হচ্ছে ঠিকা বা চোখের আন্দাজে।

এ পদ্ধতিতে কোরবানির মাংস কিনেছেন সাথী বেগম। সাথী ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'এবার কোরবানি দেয়া হয়নি৷ তাই মাংস কিনলাম। সাড়ে চার কেজির মতো হবে। দুই হাজার টাকায় কিনলাম।'

মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বস্তিতে বসবাসকারীদের কাছে মাংস জমিয়ে রাখার মত ফ্রিজ নেই। রান্না করে যতটুকু রাখা যায় সেটুকু রেখে বাড়তি মাংস বিক্রি করে দিচ্ছেন।

মাংস বিক্রেতা মনিরা বেগম ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'আমি একলা মানুষ। দুই কেজি জাল (রান্না করে) দিয়া রাখছি। বাকিটুক বিক্রি করছি। আট কেজির মত পাইছিলাম, ছয় কেজি পঁচিশ শো টাকায় বেচছি।'

একইভাবে মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে ধানমন্ডির ল্যাবেইড হাসপাতালের সামনে, হাতিরপুল, শ্যামলি, আগারগাঁওসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে।

প্রতি বছরই ঈদ এলে এসব গরিব মানুষের দু বেলা গোশত খাওয়ার ও কিছু অর্থ উপর্জনের ব্যবস্থা হয়। অন্য সময়ের তুলনায় কেজিতে এক দুই শ টাকা কমে মাংস কিনে খুশি থাকেন নিম্ন মধ্যবিত্তরাও।

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/কারই/ইএস