লালমনিরহাটে সক্রিয় সিন্ডিকেট, চামড়া পাচারের আশঙ্কা

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৪৬

রাহেবুল ইসলাম টিটুল, লালমনিরহাট

লালমনিরহাট জেলায় পাচারকারি সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরের মতো এবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে ভারতে চামড়া পাচারকারি এ চক্রটি। জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

উত্তরের জেলা লালমনিরহাট সীমান্ত মোগলহাট, দুর্গাপুর, বুড়িরহাট, চন্দ্রপুর, সিঙ্গিমারী, জাওরানী, বড়খাতা, ঠ্যাংঝাড়া, নবীনগর, জগৎবেড়, ধবলসুতি, কুচলিবাড়ী, শমসেরনগর ঝালঙ্গীসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চামড়া পাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা্।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদুল আজহার পরদিন থেকে  পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়ে থাকে।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদে চামড়া পাচারকারীরা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন শত শত দালাল।

তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় লাখ লাখ টাকা। এতে একদিকে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে ব্যর্থ হন। চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ।

লালমনিরহাট শহরের চামড়া ব্যবসায়ী আমির মিয়া, আদিতমারীর আসাদুল ইসলাম ও মিজান মিয়া জানান, ঈদে চামড়া কেনাবেচায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। চামড়া কিনতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা যোগান দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

কিন্তু চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের কিছু সদস্য ঈদকে সামনে রেখে ঈদের চামড়াগুলো বেশি দামে কিনে ভারতে পাচার করছে।

তারা আরও জানান, প্রতি বছর সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট থেকে অন্তত ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ গরু, ছাগল ও ভেড়ার চামড়া সংগ্রহ করা হয়। প্রতি বছর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের তৎপরতার কারণে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়ার অধিকাংশই কিনতে পারেন না। ফলে বেশিরভাগ চামড়াই চলে যাচ্ছে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে।

এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের যোগাযোগ থাকায় খুব সহজেই ভারতে পাচার হয় বলে জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ জানান, চামড়া পাচার ঠেকাতে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির পাশাপাশি দৃষ্টি রাখা হবে সীমান্ত পয়েন্টগুলোর দিকে। যাতে করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হতে না পারে।

পাচার ঠেকাতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তামূলক সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেকোনো মূল্যে দেশের সম্পদ চামড়া পাচাররোধে বিজিবি কাজ করে যাবে।

ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর