নোয়াখালীতে যুবক খুন, খালে মিলল আরেক লাশ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কুদ্দুস (২৫) এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বজরা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি নাটেশ্বর ইউনিয়নের রামপাড়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল কুদ্দুসের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে পাশের বাড়ীর নূর ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম ইমনের মামাতো বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারনে ইমনের মামাতো বোন তার বাবার বাড়ীতে আসেন। এনিয়ে একাধিকবার গ্রামের শালিশ বৈঠকও বসে। বৈঠকে মিমাংসার পরে কিছুদিন তিনি শ্বশুর বাড়ি থেকে আবার চলে আসেন। এসব ঘটনার জের ধরে ইমন ও কুদ্দুসের মধ্যে কয়েকদফা বাকবিতণ্ডা বাধে।

এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কুদ্দুস তার লোকজন নিয়ে ইমনদের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় ইমন তার চাচার ঘরে ছিলেন।

কুদ্দুস ওই ঘরে গিয়ে ইমনকে মারধর শুরু করলে এর একপর্যায়ে ইমন একটি ছুরি দিয়ে কুদ্দুসের পেটে মেরে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কুদ্দুসকে উদ্ধার করে বজরা হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তিনি মারা যান।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি খাল থেকে অজ্ঞাত (২২) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সাগরিয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন সাগরিয়া এলাকার একটি খালে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর)