নাটোরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৫

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:১৩ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:১৬

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নাটোরের লালপুরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন ও তিন শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন । এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল চারটার দিকে লালপুর উপজেলার কদম চিলায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নাটোর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ১২ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- লেগুনার চালক ঠাকুরগাঁওয়ের রহিম আলী (২৮), নাটোরের বড়াইগ্রামের নারায়ণপুরের রজুফা বেগম (৫০), শেফালী বেগম (৪৫), জামাইদিঘার লগেনা বেগম (৬৫), পাবনার দাশুড়িয়া মিরকামারি গ্রামের শাপলা আক্তার (২০), শাপলার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১১ মাস), পাবনার পাকশির সোবহান আলী (৭৫), টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার রোকন শেখ (২২), পাবনার পাকশীর সোবহান (৫০) ও মূলাডুলি শ্মশানপাড়ার আদুরি বিশ্বাস (৩৫), তার মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস (দশ মাস) ও ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে বিপরীত দিক থেকে আসা লেগুনার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার ১৩ যাত্রী নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে। এ সময় বাসটি সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খায় এবং এতে কমপক্ষে বাসের ৩০ যাত্রী আহত হন।

সংবাদ পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।

নাটোর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে আরো দুজনের মৃত্যু হয়।

আহতদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

“দুর্ঘটনায় নিহত সবাই লেগুনার আরোহী; লেগুনার চালক, হেলপারও নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও ছয়জন নারী রয়েছেন।”

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসূন নূর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লেগুনাটির নিবন্ধন ও ফিটনেস ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আর দুর্ঘটনাবকলিত বাসটি এ সড়কে নিয়মিত চলাচল করে। বাসটির চালক পলাতক।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাজ্জাকুল ইসলাম ও হারুনর রশিদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার ও আহতদেরকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনা কারণ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুনর রশিদ, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান।

ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস