‘চাচা-ভাতিজার ধর্ষণে’ মা হলো গৃহকর্মী কিশোরী

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৮, ২১:৫২ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৮, ১১:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক কিশোরী সন্তানের মা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে এই শিশুটির জন্ম তার পরিবারে কোনো আনন্দ বয়ে আনেনি। বরং অপমান আর দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে।

কিশোরীটি একটি বাড়িতে কাজ করত এবং সেখানেই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে গৃহকর্তা এবং তার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আর আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করা ধর্ষণ। 

দুইজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কারণে শিশুটির পিতৃ পরিচয় জানতে ধরা পড়া একজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে আরেক জন এখনও পলাতক থাকায় তার ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

কিশোরীটির কাহিনি করুণ। পুলিশের কাছে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী কালিহাতী উপজেলায় একটি বাড়িতে কাজ করত সে। আর গৃহকর্তা কিশোরীটিকে ধর্ষণ করেছে একাধিকবার। আর একদিন ঘটনাটি দেখে ফেলে ওই গৃহকর্তার বড় ভাইয়ের ছেলেও। আর তিনি অন্যদেরকে বলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তিনিও মেয়েেিক ধর্ষণ করেন।

আর হত্যার ভয় দেখিয়ে চাচা-ভাতিজা মেয়েটিকে কোনো কিছু বলতে নিষেধ করে দেন। আর এরপর তারা একাধিকবার মেয়েটির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ান।

এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। আর এরপর তার বাবা মামলা করেন দুইজনের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করা হয় ভাতিজাকে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি। আর ঢাকায় অবস্থান করছেন তথ্য আছে তার চাচার বিরুদ্ধে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে

হাসপাতালে কথা হয় কিশোরীর বাবার সঙ্গে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বাব বলেন, ‘আমার মাইয়াডা নিজেই তো পুলাপান। সেও এখন মা হইল। এখন তার দায়িত্ব কে নিব? আর বাবার পরিচয় কী? আমি এহন এই মেয়েকে নিয়া কী করব?’ আমি মামলা করছি। এক আসামি ধরা পড়ে নাই। সে আমার মেয়েকে মাইরা ফেলার হুমকিও দিছে। আমি কি বিচার পামু না?’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মামলাটি একটু জটিল। ইতিমধ্যে মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই মেয়েটি ও শরিফুলের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি