চামড়া নিয়ে বিরোধ, বাড়িঘর ও দোকানপাটে বেপরোয়া হামলা

ইফতেখার রায়হান, টঙ্গী (গাজীপুর)
| আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৫৩ | প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০১৮, ২৩:২৩

কোরবানির পশুর চামড়ার কম দাম নিয়ে যখন হাহাকার আর ক্ষোভ দানা বাঁধছে, তখন এই চামড়া কেনা নিয়ে বিরোধে তুলকালাম হয়ে গেল গাজীপুরের টঙ্গীতে। জোরপূর্বক চামড়া বেচতে বাধ্য করার ঘটনায় এই বিরোধের সূত্রপাত। আর এর প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর হয়েছে।

হামলাকারীরা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েও আতঙ্ক তৈরি করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করা যায়নি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।

রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মরকুন টেকপড়া কবরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের দিন কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় মাদ্রাসায় দান করার সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটি। কিন্তু কমিটির এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে মরকুন টেকপড়া এলাকার প্রভাবশালী সুজন ও বাবুল গ্রুপের লোকজন জোরপূর্বক কমদামে চামড়া কিনতে চায়।

এতে মসজিদ কমিটির লোকজন ও স্থানীয় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে সুজনের পক্ষের লোকজন চাপাতি ও রামদা নিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায়। শনিবার সন্ধ্যায়ও এঘটনার জের ধরে স্থানীয় এক দোকানীর সঙ্গে সুজনের পক্ষের লোকজনের মারামারি হয়। আর আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে কমপক্ষে ২০জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও লাটিসোটা হাতে অর্ধশতাধিক লোকজন টেকপড়া কবরস্থান এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালায়। তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয় এবং বাসাবাড়ির লোকজন মূল ফটক বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে অবস্থান নেয়।

খবর পেয়ে পুলিশের এএসআই আব্দুল হামিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় অবিস্ফোরিত চারটি ককটেল উদ্ধার করে।

মরকুন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমিটির সহসভাপতি ও টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কালু ঢাকাটাইমসকে জানান, এ ঘটনার পর আমি থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৭নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাদেক আলী ঢাকাটাইমসকে জানান, সুজন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন যাবত তার কার্যক্রমে অতিষ্ট।

যাদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে সেই সুজন এবং বাবুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন ধরেননি।

টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/আইআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :