নাটোর দুর্ঘটনার বাসচালককে ধরিয়ে দিলেন শ্রমিকনেতারা

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩৪ | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫৮

নাটোরের লালপুরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতের ঘটনায় বাসের চালক শামীম হোসেনকে বগুড়ায় পুলিশে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকনেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়।

বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দুপুরে শামীমকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নাটোর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

রবিবার এ মামলায় বাসের হেলপার কমলকে পুলিশ বগুড়া শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বাসটির মালিক মঞ্জু সরকারকে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ঈদের তৃতীয় দিন গত শনিবার বিকালে নাটোরের লালপুরের কদমচিলান ফিলিপস মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। বাসটি পড়ে যায় সড়কের পাশে খাদে। আর ঘটনাস্থলেই নিহত হয় একই পরিবারের তিনজনসহ লেগুনার ১৫ যাত্রী।

বাসটি পাবনা থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেগুনার অপর চার যাত্রী ও বাসের আট যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে যোগ দেন বনপাড়া হাইওয়ে থানা, লালপুর থানা, নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

লেগুনার বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী নুরসেদ সর্দার (৭২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেছিলেন, লেগুনাটি বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাসের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি ছাড়ার পর থেকেই চালক এলোমেলো চালাচ্ছিলেন। চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহূর্তে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় তিনি স্ত্রী লজেলাকে হারিয়েছেন।

পরের দিন সকালে এ ঘটনায় লালপুর থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়। বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউছুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বনপাড়া লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, লেগুনার চালক, চালকের সহকারী, চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তার সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আর চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে অজ্ঞাত দেখানো হয়। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :