হেলমেট পরায় আগ্রহ বেড়েছে

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:১১ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৫

কাজী রফিকুল ইসলাম ও সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস

হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালক ফিলিং স্টেশন থেকে জ্বালানি পাবেন না- ঢাকার পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে এমন ঘোষণার পর নগরীর সিংহভাগ তেলের পাম্পই তা কার্যকর করেছে। আর পাম্প কর্মীরা বলছেন, হেলমেট ছাড়া চালক আসছেন কমই।

আবার অ্যাপসভিত্তিক মোটর সাইকেলের চালকরা জানাচ্ছেন, আগে যাত্রীরা হেলমেট পরতে চাইতেন না। কিন্তু এখন তারাও হেলমেট পরছেন। কেউ না পরতে চাইলেও পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলার পর তারা না করছেন না।

হেলমেট ছাড়া মোটর সাইকেলে চড়া আইন বিরুদ্ধ। কিন্তু চালক ও আরোহীদের একটি বড় অংশই তোয়াক্কা করত না এতদিন। নানা সময় পুলিশের বিশেষ অভিযান, অনুরোধেও কাজ হয়নি। তবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর পুলিশের কঠোর অবস্থান আর সচেতনতা বৃদ্ধিতে সুফল মিলেছে।

আসাদগেটের সোনার বাংলা সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার বকুল শিকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা হেলমেট ছাড়া কাউকে তেল দিচ্ছি না। আর তার থেকে বড় কথা তেল পাবে না এই ঝুঁকি কেউ হেলমেট ছাড়া তেল নিতে আসছে না।’

‘কয়েকদিন আগে ফিলিং স্টেশনের মালিকদের সাথে বসেছিল পুলিশ। তখনই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রি না করতে। মাঝে মাছে কিছু মোটরসাইকেল চালকরা আসত হেলমেট ছাড়া তেল নিতে। আমরাও দিতাম কারণ তখন কোন নির্দেশনা ছিল না। তবে আজ পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাওয়ায় সেটা বাস্তবায়ন করতে সহজ হয়েছে।’

যদি কেউ হেলমেট ছাড়া আসে?- এমন প্রশ্নে বকুল সিকদার বলেন, ‘ঢাকা শহরে ট্রাফিক আইন কঠোরতর করার ফলে এখন কেউ হেলমেট ছাড়া আসছে না। আর কেউ হেলমেট ছাড়া আসলেও আমরা দেব না।’

এই পাম্পে তেল নেয়া বেসরকারি চাকুরে মোহাম্মদ হাবিব বলেন, ‘আমি কোনোদিন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাই না। তাই আমার কাছে এই নিয়ম তেমন কিছু মনে হচ্ছে না।’

‘হেলমেট সবারই পরা উচিত। কারণ রাজধানী ছোট-বড় সড়কদুর্ঘটনা লেগেই আছে। জীবনের নিরাপত্তার জন্য এটা মাথায় থাকা উচিত।’

অ্যাপস ভিত্তিক শেয়ার রাইডিং পাঠাও এর চালক সুমন খন্দকার বলেন, ‘আমরা যারা চালক আছি সবাই হেলমেট পরলেও যাত্রীরা পরতে চাইত না। তবে পুলিশের ঘোষণার পর আমরা তাদের জোর করে হেলমেট পরাচ্ছি।’

‘তাদেরকে বোঝাচ্ছি যাত্রীর জন্য যেন আমাদের পুলিশের কাছ থেকে মামলা বা হয়রানির শিকার না

হতে হয়।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আশরাফ উল্লাহ ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘নির্দেশনা পাওয়ার পরই সেটা আমরা ফিলিং স্টেশন মালিকদের কাছে পৌঁছে দিছি। প্রতিনিয়ত অফিসাররা পর্যবেক্ষণ করছে হেলমেট ছাড়া কোনো পাম্প মালিক তেল বিক্রি করছে কি না।’

‘আমরা মালিকদের সাথেও কথা বলছি তারা যেন আমাদের সহায়তা করে। এখন পর্যন্ত কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।’

অবশ্য নগরীর এক প্রান্তসীমা মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশনে এখনও পৌঁছেনি এই নির্দেশনা। ফলে সেখানে হেলমেট ছাড়াই জ্বালানি নিতে দেখা গেছে।

এই দৃশ্য দেশে কথা হয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে। বলেন, ‘আমরা এখনও এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাদের কিছু জানানোও হয় নাই। যদি এমন নিয়ম করাই হয়, আমরাও মানব।’

ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/কারই/এসএস/ডব্লিউবি