ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির নীলগাই উদ্ধার

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:১৫

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল  উপজেলার  সীমান্তবর্তী কুলিক নদী তীর এলাকায় বিরল প্রজাতির একটি নীলগাই (গরু) আটক করেছে এলাকার লোকজন। বিকালে নদীতে মাছধরা জেলে সেটিকে আটক করে।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার পটুয়া এলাকায় পথচারীরা একটি বিরল প্রজাতির নীলগাই (গরু) দেখতে পায়। তারা সেটিকে ধরার চেষ্টা করলে সেটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌড়ে রানীশংকৈল উপজেলার যদুয়ার এলাকায় কুলিক নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয় জাহিদ, বুধু, মকবুলসহ অর্ধ শতাধিক এলাকাবাসী  নীলগাইটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারা দ্রুত নাক ফড়িয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।

খবর পেলে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। নীলগাই আটককারী জাহিদের ভাই আবুবক্কর কোন অবস্থাতে নীলগাইটিকে হস্তান্তর  করতে অস্বীকৃতি জানালে  রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

মৌসুমী আফরোজা ঘটনাস্থলে গিয়ে নীলগাইটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। সেটিকে জাতীয় উদ্যানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা বলেন,  জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটিকে যদুয়ার এলাকা থেকে উদ্ধার করে দ্রুত জাতীয় উদ্যানে  চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নীলগাই উদ্ধারকারী জাহিদ বলেন, দ্রুতগতিতে আসা নীলগাইটি যদুয়ার এলাকায় কুলিক নদীর পানিতে পড়ে গেলে কয়েকজন মিলে সেটিকে উদ্ধার করে নিরাপদে স্থানে রাখি।

সদর উপজেলার পটুয়া ফকদনপুর এলাকার আকরাম আলী বলেন, প্রায় ৩-৪ মাস ধরে ভুট্টা ক্ষেতে নীলগাইটি ছিল। এখন ভুট্টা না থাকায় পাশের জঙ্গলে ও আখ ক্ষেতে

বসবাস করছিল। জঙ্গলের পাশে ধান ফসল নষ্ট করলে আজ কয়েকজন মিলে নীলগায়টিকে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটি দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। সেখানে  চিকিৎসা দিয়ে নীলগাইটিকে রাখা হয়েছে। নীলগাইটির যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান বলেন, নীলগাইটি এলাকাবাসী আটক করার সময় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধার নীলগাইটি চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। নীলগাইটি সুস্থ হলে কথায় পাঠালে ভাল হয় বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে সীদ্ধান্ত নেয়া হবে।

স্থানীয়দের ধারণা, নীলগাইটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এলাবাসীর ফসল নষ্ট করলে পাহারা দিয়ে নীলগাই চিনতে পারে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কোনভাবেও নীলগাইটিকে আটক করতে পারেনি এলাকাবাসী।

(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)