জাবালে নূর বাসের মালিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
রাজধানীর কুর্মিটোলায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জাবালে নূর বাসের মালিকসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামি হলেন জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ।
এর মধ্যে একটি বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারি কাজী আসাদ এখনো পলাতক।
তদন্তে ইচ্ছে করে বাস চাপা দেয়ার প্রমাণ মিললেও ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না বলে তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার বদলে ৩০৪ ধারার অপরাধের অভিযোগ এনে চার্জশিটটি দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, চালক ও চালকের সহকারীরা বেশি যাত্রী ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে, তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ায়।
এ সময় চালক মাসুম বিল্লাহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে দুজন শিক্ষার্থী মারা যান।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সেদিন বাস দুটির চালক ও চালকের সহকারীরা দুই থেকে তিনবার ওভার ট্রেকিং করে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় দুই বাসের রেষারেষিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম রাজিব।
এরপর নিরাপদ সড়ক ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে রাজপথে নেমে আসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়ার বাবার করা মামলা তদন্তের ভার দেয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে।
এরপর রাজধানীর মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের বাসের চালক এবং তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার র্যাব-১।
এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের ঘাতক বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/ডিএম