বদলে যাওয়া সদরপুর ভূমি অফিস

কাজী বনফুল, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:০৬
বামে সদরপুর এসিল্যান্ড

পুরাতন অন্ধকারকে পেছনে ফেলে আলোর মুখ সবাই দেখতে চায়। কিন্তু সেই আলোর বাহক সবাই হতে পারে না। আর যারা আলোর বাহক হন তারা জীবনের সকল সুখ শান্তিকে পরিত্যাগ করে সেই আলোর রশ্মি বয়ে আনে মানুষের জন্য। তারাই মূলত মহামানব, কালের অগ্রনায়ক। আর তেমনই একজন অগ্রনায়ক হচ্ছেন তিনি, সদরপুরে কর্মরত সহকারী কমিশনার ভূমি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জোবায়ের রহমান রাশেদ।

তিনি আসার আগে সদরপুরে ভূমি অফিসের চিত্র ছিল ভিন্ন রকম উঠান- বারান্দায় এমনকি অফিসের ভেতরে টেবিল-চেয়ারে বসা বিভিন্ন বয়সী লোকের ভিড়। কে দালাল, আর কে এ অফিসের চাকুরে- বোঝা ছিল দায়। দালালদের পেছনে ঘুরে ঘুরে জমির নামজারি বা বন্দবস্তের কাজ করতে হতো। এরকমই ছিল আগের চিত্র কিন্তু তিনি এই অফিসে যোগদানের পর থেকে সকল প্রকার অন্যায়কে দূরীভূত করে এনেছেন নতুন আলোর রশ্মি।

কথা হলো সবুর মিয়া নামে এক সেবা প্রার্থীর সাথে। তিনি জানান, আগে দালালের জন্য এ অফিসে ঢোকাই যেত না। আর এখন অফিসে কোন দালাল নেই আমরা সরাসরি এসে সরকারি ফি জমা দিয়ে সরাসরি আবেদন করে সঠিক সময় সেবা পাচ্ছি।

কার্যালয়ে আসা অন্য এক সেবাপ্রার্থী বাবুল শেখ বললেন, ভূমি কার্যালয়ে কাজ মানেই দালালের দৌরাত্ম্য। দিনের পর দিন হয়রানি। কর্মচারীদের অবজ্ঞার পাশাপাশি বাড়তি খরচ কিন্তু এই স্যার আসার পর তা এখন আর চোখে পরে না।

একজন হিন্দু প্রবীণ লোককে দেখলাম তার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছেন। জিজ্ঞাসা করলাম, দাদা কার জন্য এই দোয়া? বললেন, স্যার সাক্ষাৎ দেবতার মতো। আমার মাথার চুলের সমান বছর বাঁচিয়ে রাখুন।

ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ভূমি কার্যালয়ের ভেতরের অফিস রুম আগে যেমন ছিল নোংরা, তেমনি ছিল দুর্গন্ধযুক্ত। কিন্তু তিনি যোগদান করেই অফিস রুম অভাবনীয় পরিবর্তন করেছেন। যা সচক্ষে দেখা যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের পেছনের মানুষটি হচ্ছেন সদরপুরের এসিল্যান্ড।

কোন সেবাপ্রার্থীর তার কাছে যেতে লাগে না কোন অনুমতি। এমনকি বিভ্রান্ত অপেক্ষমান কাউকে দেখলে সাথে সাথে নিজ কক্ষ থেকে বাইরে এসে তার সমস্যার কথা শুনে তার সেবা নিশ্চিত করছেন।

সর্বোপরি কথা হলো সেই আলোরবাহক মো. জোবায়ের রহমান রাশেদের সাথে। তার সাথে কথা বলে যা বুঝতে পারলাম, তা ঠিক এমন যে, আমি মানুষকে সেবাদানের ব্রত নিয়ে কাজে যোগদান করেছি। এখান থেকে মৃত্যু ছাড়া এ থেকে আমি পিছু পা হব না। মানুষ কল্যাণের জন্য আমি নিজেকেও বিষর্জন দিতেও দ্বিধা করব না।

সর্বোপরি এমন মানুষই পারেন সমাজ তথা দেশের পচা-আবর্জনাকে পরিষ্কার করে আলোর দূতি ছড়িয়ে দিতে।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :