বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
| আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:০৪ | প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৬

প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। কোনও গোলযোগ দেখা না দিলে সোমবার থেকে পুরোপুরি কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। তবে উত্তোলন শুরু হলেও এ ব্যাপারে জানে না দেশের কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান জানান, শুক্রবার দিনগত রাত থেকে খনির ১৩১৪ নম্বর ফেস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। খনিতে বর্তমানে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীর পাশাপাশি এক হাজার ৪ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়লা উত্তোলনের কথা থাকলেও তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরিভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, খনির ১৩১৪ নম্বর ফেসের টানেল নির্মাণের কাজ শেষ করার পর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ফেস থেকে ৫২৯ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হয়েছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই ২ হাজার থেকে ২২শ টন কয়লা উত্তোলন করা হবে।

এদিকে এদিকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলেও এ ব্যাপারে কিছু জানে না বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তবে প্রয়োজনীয় কয়লার মজুত পেলে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আবারো চালু করার আশা ব্যক্ত করেছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

কয়লার অভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত ২২ জুলাই রাত ১০টায় বন্ধ হয়ে যায়।

তবে ঈদুল আযহায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পিডিবি কর্তৃপক্ষ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ২০ আগস্ট থেকে চালু করে। কিন্তু কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় ৮ম দিনের মাথায় ইউনিটটি আবারো বন্ধ হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ইয়ার্ড থেকে প্রায় ২৩০ কোটি টাকার প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা উধাও হওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে।

ফাইল ছবি

এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদ, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। খনির কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়।

খনির এই চার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৯ কর্মকর্তার নামে দুর্নীতি দমন আইনে ২৪ জুলাই পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বিসিএমসিএল এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিছুর রহমান।

মামলাটি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)উপ-পরিচালক শামসুল আলম। দুদক খনির সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও আমিনুজ্জামান এবং মামলায় অভিযুক্ত ১৯ কর্মকর্তাসহ ২১ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। এ ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুদক কয়লা খনির সাবেক ও বর্তমান ৩০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।

ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :