‘সংবাদ সম্মেলন স্তুতির জায়গা নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৭ | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৫

সাংবাদিকের দায়িত্ব ঘটনার পেছনের ঘটনা খুঁজে বের করা, সত্য তথ্য উদঘাটন, তথ্য বিশ্লেষণ। যতবড় রাজনীতিবিদ হোন বা সাধারণ মানুষই হোক সাংবাদিকরা সত্য খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে কাউকেই ছাড় দেন না। অন্তত সাংবাদিকতার নীতিমালা তাই বলে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সবসময় নাগাল পাওয়া দুষ্কর, সেক্ষেত্রে সাংবাদিকের তথ্যের বড় একটা সূত্র হচ্ছে রাজনীতিবিদদের সংবাদ সম্মেলন। যদিও আমরা ভাগ্যবানই বলেতে পারি, কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) সংবাদ সম্মেলনে আসেন এবং সেখানে প্রশ্নের জবাবও দেন।

কিন্তু সাংবাদিকরা তাকে কতটা প্রশ্ন করেন। কতটা সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করেন। সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে ব্যক্তিগত মতামত, প্রশংসা, তুষ্টি লাভের চেষ্টা কি সাংবাদিকতা? কেন স্তুতিবাক্যের সংস্কৃতি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেখানে প্রশ্ন করার সুযোগ রাখেন সেখানে প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেন এই স্তুতি?

মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের ‘সংবাদ সম্মেলনে আমাদের সাংবাদিকতা’ বিষয়ক টক শোতে আলোচকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন উপস্থাপক সামিয়া রহমান।

‘জনতন্ত্র-গণতন্ত্র’ নামের এই টক শোতে প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বিষয়ে তারা বিশ্লেষণ করেন।

‘প্রেস কনফারেন্সে থাকবেন রিপোর্টাররা’

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্সে রিপোর্টাররা থাকবেন, তারা সরাসরি প্রশ্ন করবেন। সেখানে ধানাই-পানাইয়ের সুযোগ নেই। সেখানে কেন সম্পাদকরা থাকবেন।’

নেপাল থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী যে সংবাদ সম্মেলন করেন এর প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে যখন পাওয়া গেল, তাকে বিমসটেকের বাইরেও প্রশ্ন করার সুযোগ যেহেতু পাওয়া গেছে, সেখানে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা যেত।’

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের স্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে পারলে হয়তো কিছু পাওয়া যাবে। এটাতো সাংবাদিকতা নয়, এটা সাংবাদিকতাকে নষ্ট করে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্সে এক সময় সম্পাদক হিসেবে আমাদের ডাকা হতো। আমি যেতাম। রিপোর্টাররা আমাদের পেছনের দিকে বসে থাকতো। আমরা এডিটররা যখন সামনের সারিতে বসে থাকি তারা কিন্তু জড়োসড়োভাবে বসে থাকে, তারা প্রশ্ন করতে চায় না। তারা ভাবে যে, আমার এডিটর সামনে বসে আছেন, আমি কী প্রশ্ন করবো।’

‘তখন আমরা এডিটর কাউন্সিল থেকে একটা রেজুলেশন নিলাম, কোনো এডিটর প্রেস করফারেন্সে যাওয়া উচিত না। আমরা এটুকু বলে দিলাম তাতে কিছু সম্পাদক যাচ্ছেন, কিছু যাচ্ছেন না। যারা যাচ্ছেন তারা কেন যাচ্ছেন? তারা কি এসে রিপোর্ট লিখবেন। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে গেছেন ওখান শোভাবর্ধনের জন্য। তারা সামনে বসে আছেন। এটা সাংবাদিকের ইমেজ নষ্ট করে দিয়েছে।’

প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, ‘সেদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স দেখলাম এডিটররা সামনের কাতারে। বাঁ দিকের পুরো অংশটুকু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দখল করে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখন একটা পজেটিভ কথা বলছেন তারা হাত তালি দিচ্ছেন। এটাকে প্রেস কনফারেন্স বলা যায় না।’

‘আমরা একসময় এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রেস কনফারেন্স বয়কট করে বেরিয়ে আসতাম। এখন এগুলোকে উৎসাহ দিই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা একটি ম্যাসেস দিতে চাই, প্রেস কনফারেন্স যেন প্রেস কনফারেন্সের মতো হয়। সেখানে শুধু রিপোর্টাররা থাকবেন।’

‘স্তুতির জায়গা নয় প্রেস কনফারেন্স’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘স্তুতিবাদের জায়গাতো প্রেস কনফারেন্স না। কিছু তথ্য আছে যেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছানো দরকার, সেজন্যই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তার জন্য গণমাধ্যমের সাহায্য নেয়া। সেখানে যে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে যারা রিপোর্ট করেন, সাধারণত আশা করা হয় তারা আসবেন সেখানে।’

‘যেমন প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক থেকে এসে এনার্জির ওপর কথা বলছেন। কারণ এনার্জি গ্রিড করার চিন্তা করেছেন ওনারা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যারা এনার্জি নিয়ে সংবাদ করেছেন তারা থাকবেন। শুধু থাকবেন না তারা হোমওয়ার্ক করে আসবেন। যেটা আমরা দেখি অনেক রিপোর্টার আছেন, বেশ প্রস্তুতি নিয়ে আসেন। যার প্রস্তুতি থাকে না সেটা প্রশ্ন দেখলেই বোঝা যায়।’

সাংবাদিকতার এই শিক্ষক বলেন, ‘স্তুতিবাদের জায়গাতো প্রেস কনফারেন্স না। ভালো কাজের প্রশংসা থাকতে পারে। সেটা স্তুতি না তোষামোদি বোঝা যায়। কোন সাংবাদিক তোষামোদ করছেন সেটা জনগণ বুঝতে পারে। প্রশংসা করবেন, কিন্তু প্রশ্নওতো করবেন। সাংবাদিকের কাজটা কিন্তু অনুসন্ধান করা। প্রশ্নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে আনা।’

‘হেলায় সুযোগ হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী খুব সুন্দরভাবে কথা বলেন, কথার পিঠে কথা বলতে পারেন। এরকম একজন মানুষ যদি থাকেন যিনি কথায় গুটিয়ে যান না, বিব্রতবোধ করেন না, উনাকে সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া পরম আরাধ্য বিষয়।’

‘একটা দেশে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক কনটেন্ট আছে। উনি বিমসটেক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে অন্য বিষয় ওপেন করে দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে কী হেলায় সুযোগ হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা! অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন মন্ত্রী শাজাহান খান বা ওবায়দুল কাদের তাদেরকে প্রশ্ন করার সময় আমরা দেখি না সাংবাদিকদের দ্বিধান্বিত হতে। কিন্তু এখানে যারা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করছেন তারা কিন্তু নামকরা সাংবাদিক। ওইখানে গিয়ে উনাদের ব্যক্তিত্বটা কোথায় যায়। আমার কাছে মনে হয় উনাদের আত্মসম্মানের অভাব রয়েছে। যারা অডিয়েন্স আছে তাদের বিন্দুমাত্র কেয়ার করেন না, যে মানুষ উনাদের নিয়ে কী ভাবছে!’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর গত সাংবাদিক সম্মেলনে আমি থাকলে বলতাম শহীদুল আলমের গ্রেপ্তারের ব্যপারে টিউলিপ সিদ্দিক নিন্দা করেছেন, আপনার এই ব্যাপারে বক্তব্য কী। দেখেন, ‍উনি যদি রেগেও যেতেন তাহলেও কিন্তু ইন্টারেস্টিং নিউজ হতো। উনার (প্রধানমন্ত্রীর) অত্যন্ত স্নেহধন্য বাংলাদেশের গর্ব টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হয়েছেন উনার মতো অবস্থানের মানুষ এ কথা বলেছেন। আমি যখন প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেলাম এটা জিজ্ঞাসা করবো না কেন।’

‘এটা একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র, এমন অনেক প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেটা আইন তাকে দিয়েছে। তাই যেকোনো মিস গভর্নেন্সের ব্যাপারে আমার সুযোগ থাকে তাকে প্রশ্ন করা। প্রধানমন্ত্রী যখন ফ্লোর ওপেন করে দিলেন তখন গুমের ব্যাপার হোক, ব্যাংক লুটের ব্যাপার হোক, কয়লা চুরির ব্যাপার হোক যেকোনো প্রশ্ন করা যায়। এই সুযোগটা (সংবাদ সম্মেলনে যারা থাকেন) উনারা কেন নেন না। আজকের আলোচনার মতো এই যে ডিবেটটা আপনারা মিডিয়ায় নিয়ে আসছেন, আমার মনে হয় এ থেকে উনাদের বোধোদয় হবে।’

সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, এ ধরনের স্তুতিব্যক্যের সংবাদ সম্মেলন আমাদের দিক থেকে কেন করছি, আপনার কী মনে হয়। এটি কি সুনজরের আসার জন্য না পদ লাভের আশা। নাকি সাংবাদিকরার নীতি এখন আর কোনোভাবেই অনুসরণ করি না।

জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘যারা করে এটা তারা ভালো বলতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ কারও প্রতি গুণমুগ্ধ হতেই পারে। কিন্তু সেটা প্রকাশের জায়গাতো সাংবাদিক সম্মেলন না। আপনার ফেসবুক আছে, টুইটার আছে সেখানে আপনি লিখেতে পারেন, সেটা আপন ব্যক্তিগত অভিমত। সাংবাদিকতার ক্যারেক্টরতো আপনি নষ্ট করতে পারেন না। এমন হতে থাকলে সিনিয়র সাংবাদিকদের দেখে জুনিয়র সাংবাদিকরা কী শিখবে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘যে সংবাদমাধ্যম থেকে যাচ্ছেন সেই সংবাদ মাধ্যমের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা যদি ভূমিকা না নেন তাহলে কেমনে হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে কি আপনি স্তুতি বাক্য করবেন। আশ্চর্য বিষয় হলো, ওখানে কিছু কিছু সাংবাদিক কমপ্লেন করে বিরোধী দলীয় নেতার সম্পর্কে, বিরোধী দলের আন্দোলন সম্পর্কে। আপনিতো ওখানে যাচ্ছেন উনাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) জবাবদিহিতার মধ্যে আনার জন্য, বিরোধী দলের জবাদিহিতার মধ্য আনার জন্য না। সেটা আপনি বিরোধী দলের নেতার কাছে করবেন।’

সাবেক এই সাংবাদিক বলেন, ‘কিছুদিন আগে মন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেছিল সাংবাদিকরা। তখন কিন্তু তরুণ কিছু সাংবাদিককে দেখেছি অত্যন্ত এগ্রেসিভলি এবং খুবই যৌক্তিকভাবে প্রশ্ন করতে। এই চিত্রও কিন্তু আছে।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা প্রেস কনফারেন্স যারা আয়োজন করছে উনাদেরও কিছু ভূমিকা পাললের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে এই শিক্ষক। বলেন, ‘এটা দৃষ্টি এড়ালে চলবে না। আমি একটি পত্রিকার রিপোর্টে দেখলাম সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকের চেয়ে বেশি ছিল অন্য ধরনের লোকেরা। সাংবাদিক সম্মেলনেতো অন্যধরনের লোক থাকবে না। পলিটিক্যাল পার্টির লিডার বা সাংস্কৃতিক দলের লিডার বা নাট্যদলের লিডার থাকবেন না। আবার এটাতো সম্পাদক সম্মেলন না, এটা সাংবাদিক সম্মেলন।’

‘আরেটাক কথা হলো, ওখানে অনেক প্রধান সংবাদপত্রের প্রতিনিধিদের দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে যারা সাহসী প্রশ্ন করতে পারেন, চাচাছোলা প্রশ্ন করতে পারেন তাদের কাউকে রাখা হবে না-এমনটা কি চান আমন্ত্রণকারীরা! তারা এটাও করেছেন কি না প্রধানমন্ত্রী কিছু কথা বলবেন, হাততালি দেয়ার জন্য কিছু পলিটিক্যাল লোক রাখা হবে। এসব বিষয় যাদের মাথা থেকে এসেছে তাদেরও নিন্দা করতে হবে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে এখানে ছোট করেছেন, সাংবাদিক সম্মেলনের নামে একটা আনন্দ মেলার আয়োজন করেছেন।’

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

সাংবাদিক মিনার মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর নৃশংস হামলায় ঢাকাস্থ গাজীপুর সাংবাদিক ফোরামের নিন্দা

বাংলানিউজকর্মী মিথুনের ক্যানসার চিকিৎসায় এগিয়ে এলো বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন

আজ ভোরের পাতা সম্পাদকের পিতার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী

সাংবাদিক মোহসিন কবিরকে মারধরের ঘটনায় ডিআরইউর প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ সাংবাদিককে বহিষ্কারের নিন্দা বিএফইউজের

ডিইউজে নির্বাচন: সোহেল-তপু সভাপতি, আকতার সম্পাদক

ঈর্ষান্বিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে ঢাকা টাইমস সম্পাদককে

শেরপুরের সাংবাদিক রানাকে কারাদণ্ডে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

নকলায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :