তরুণদের ভাষা বুঝতে হবে: বি চৌধুরী

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মনে করেন বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা রক্তপাতের  রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে শান্তি-সুখের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ঘাম (পরিশ্রম), মেধা ও বুদ্ধি এবং দেশের জন্য ভালোবাসা দিয়ে স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তরুণ প্রজন্মকে পরামর্শ দেন তিনি। আর তরুণদের ভাষা বোঝার জন্য দেশের রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘প্ল্যান বি’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন প্রজন্ম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাহি বি চৌধুরী।

রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এমন তরুণ সমাজ বর্তমানে অহিংস রাজনীতির উদাহরণ তৈরি করছে বলে মনে করেন বিকল্পধারার সভাপতি।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘দেখতে হবে ইদানীং অহিংস রাজনীতির পথ কারা দেখাচ্ছে। আমরা যারা অভিজ্ঞ আজ তাদেরকে বুঝতে হবে। আমরা অভিজ্ঞরা যদি তরুণদের ভাষা না বুঝতে পারি তাহলে দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’

পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তারা অল্প বয়সেই হয়েছেন বলে জানান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘আমার জীবনের সফলতা এসেছে অল্প বয়সে। ৪৭ বছরের মধ্যে আমি মোটামুটি ভালো অবস্থানে পৌঁছে গেছি।’

‘সুতরাং, আমাদের দেশের অল্প বয়সীদের যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করে যে, সে কী করবে- এটা বলা উচিত হবে না।’

সম্প্রতি দেশের যুবকদের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার ও কিশোরদের নেতৃত্বে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দুই দফা বড়ধরনের আন্দোলন হয়েছে। যেখানে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে অহিংস আন্দোলনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মনে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনটা কী ছিল? তারা কী দারুণ আন্দোলনটা করলো। তারপর নিরাপদ সড়কের আন্দোলন। তারা তো আরও ছোট। সারা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিল। বাংলাদেশকে তারা কাঁপিয়ে দিল। তাদের ভাষা আমাদের বুঝতে হবে।’

‘আমাদের বসতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। রক্তপাতের দিন শেষ। আর কত রক্তপাত হবে? স্বাধীন দেশে করতে গিয়েতো রক্ত দিয়েছি। এখন স্বাধীন দেশে কেন রক্ত দেব?’

বি চৌধুরী বলেন, ‘রক্ত ছাড়াই ঘাম দিয়ে, মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে এবং দেশের জন্য ভালোবাসা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে তরুণদের।’

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে যারা গিয়েছে, তারা তো গাড়ি ভাঙচূড় করতে, আগুন ধরাতে বা মারপিট করতে যায়নি। বরং তাদের ওপর পুলিশ অত্যাচার করেছে। সরকারের গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। আর এতসব অত্যচারের মধ্যেও তারা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।’

বর্তমানের বাংলাদেশ স্বেচ্ছাচারিতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন এই রাজনীতিবিদ। বলেন, ‘স্বেচ্ছাচারিতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশ। এ কী অবস্থা? যার যা ইচ্ছা তাই করছে। জনগণের ভোট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এরকম অবস্থা চলতে পারে না। এক স্বেচ্ছাচারী গেলে আরেক স্বেচ্ছাচারী আসবে, সেটাও হতে পারে না। স্বপ্ন পূরণে ‘মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন’ একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এএকে/জেবি)