কুড়িগ্রামে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রে বাড়ছে পানি, শঙ্কায় চরাঞ্চলের মানুষ

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:০৯

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও কিছুটা কমেছে তিস্তার পানি। এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ও নুন খাওয়া পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি।

নদ-নদী তীরবর্তী চরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে আমনসহ সবজি ক্ষেত। বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে। এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদার ইসলাম জানান, গত তিন দিন ধরে যেভাবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে তাতে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে।

এদিকে চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে রোপনকৃত আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে থাকায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব এলাকার কৃষকরা।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন জানান, আমরা চরাঞ্চলের কৃষকরা সেচ দিয়ে কিছু জমিতে আমন লাগিয়েছি। এসব আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গত তিনদিন ধরে নদীর পানি বাড়তেই আছে। পানি কমে না গেলে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আরো ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি বা সামান্য উপরে যেতে পারে। এতে করে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন বন্যার আশঙ্কা নেই।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :