মনোনয়ন প্রত্যাশীর শোডাউনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
| আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৮ | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:০৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক মনোনয়ন প্রত্যাশীর মোটরসাইকেল শোডাউনে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার তিনটার দিকে উপজেলার পিরিজপুর মোড়ে এ হামলা হয়।

হামলায় অন্তত ১৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি জিপ ও প্রায় ২৫টি মোটরসাইকেল।

পাশের তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী এই শোডাউন বের করেছিলেন। গোলাম রাব্বানী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

রাব্বানীর দাবি, গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরব আলীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী এ হামলা চালিয়েছেন। তারা আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুসারী।

গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ওপরের নির্দেশে গোদাগাড়ী-তানোরে শোডাউন করছি। এ দিন আমরা তানোরের মুন্ডুমালা থেকে শোডাউন শুরু করেছিলাম। গোদাগাড়ীর পিরিজপুর দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলার পর আমি অন্তত ১৩ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

রাব্বানী জানান, তার শোডাউনে দুটি জিপ, একটি পিকআপ ভ্যান, দুটি মাইক্রোবাস ও প্রায় ৭০০ মোটরসাইকেলে হাজার দুয়েক নেতাকর্মী ও সমর্থক ছিলেন। শোডাউনের সময় কিছু মোটরসাইকেল পেছনে পড়ে যায়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রামদা, হকিস্টিক ও লাঠিশোটা নিয়ে মোটরসাইকেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তখন প্রায় ২৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলার খবর পেয়ে তিনি ফিরে এলে তার জিপেরও কাঁচ ভেঙে দেয়া হয়। মোটরসাইকেল ভাঙচুরের সময় সেগুলোর চাবিও কেড়ে নেয়া হয়। পরে মোটরসাইকেলগুলো অন্য একটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরব আলী বলেন, শোডাউন থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল। তখন আমাদের ছেলেরা তাদের ধাওয়া দেয়। তখন মোটরসাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন। এতেই কয়েকজন আহত হন, গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলা চালিয়ে মারধর কিংবা ভাঙচুরের অভিযোগ সত্য নয়।

তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী বলেছেন, শোডাউন থেকে কাউকে কটূক্তি করে কোনো স্লোগান দেয়া হয়নি। স্লোগান ছিল একটাই- শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। দলের ওপর মহল আমাকে বলেছে, যেসব এলাকায় পরিচিতি কম, সেসব এলাকায় যান। এ জন্য আমি গত চার দিন ধরে গোদাগাড়ী-তানোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শোডাউন করছি। এটা সহ্য করতে না পেরে বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারীরা হামলা করেছেন। এ ঘটনায় আমি মামলা করব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে এর আগেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এই হামলার বিষয়ে কথা বলতে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তিনি ঢাকায়। তাই এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/আরআর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :