কারো নিষেধ শুনেননি তামিম

দেলোয়ার হোসেন, দুবাই থেকে
 | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:১৫

বিসিবির জানানোর আগেই হাসপাতাল সূত্রে জানা হয়ে যায়, এশিয়া কাপ শেষ, বাঁ হাতের কব্জিতে চিড় ধরেছে, হাত প্রচণ্ডভাবে ফুলে গেছে। অন্তত ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে ২ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়া তামিমকে।

৪২.৪ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশের রান তখন ২২৯। তামিম ব্যাট করতে পারবেন না- শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়রাও ধরেই নিয়েছিলেন। নবম উইকেট পড়ে যাবার পর ড্রেসিংরুমে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা।

কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে পড়লেন তামিম! তামিম নামনেল এক হাতে ব্যাট নিয়ে। অত্যন্ত সাহসী এবং ঝুকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দলের প্রয়োজনে তামিম নিজেই নিয়েছিলেন এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত।

কোচ, ম্যানেজার এবং দলের সঙ্গে থাকা অন্যান্য কোচিং স্টাফরও তামিমকে মাঠে নামতে নিষেধ করেছিলেন। এমনকি মাশরাফিও চাননি এক হাতে বল ফেস করুক তামিম।

মাশরাফি ও তামিম মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, মুশফিক ব্যাটিং এন্ডে থাকলেই কেবল মাঠে নামবেন। কিন্তু ওই পরিস্থিতি ছিল না। শেষ পৃর্যন্ত ব্যাটিং এন্ডেই নামতে হয়েছে তামিমকে। আর নেমেই বল ফেস করতে হয়েছে তাকে।

এক হাতে ব্যাট ধরে ইনজুরি হাতটা পেছন রেখে বলটা ফেসও করেছেন ঠিকঠাক। এর পরের ২৪টি বল মুশফিকই ফেস করেছিলেন। ওই ২৪ বলে ৩২ রান তুলে স্কোর ২৬১ নিয়ে যান মুশফিক। তামিমের কঠিন সিদ্ধান্তের কারণেই ২২৯ থেকে ২৬১ রানে যেতে পেরেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তামিমের বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে। মাশরাফি বলেছিলেন,‘ ওরটা ওই (তামিম) বলুক। ওই ভালো বলতে পারবে। কারণ সিদ্ধান্তটা দিন শেষে ওই নিয়েছে।’

তামিমের মুখ থেকে কথাটা শোনার জন্য টিম বাসের কাছে অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। তামিম নিজেই এগিয়ে আসলেন হাসি মাখা মুখ নিয়ে। মোবাইলে রাখা আঙুলের এক্সরের ছবি দিখিয়ে বললেন, ‘শুধু চিড় ধরে নাই, দেখেন কীবে ভেঙে গেছে। ১৮ তারিখের পর জানা যাবে অপারেশন করা লাগবে কিনা।’

মাঠে নামার সিদ্ধান্তটা আসলে কার ছিল? আপনার নিজের? তামিম বললেন, ‘মুস্তাফিজ আউট হওয়ার পর ফিজিও মাঠে নামার ব্যাপারে আমাকে সবুজ সঙ্কেত দেননি। কেননা মুশফিক তখন ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে। কোচও বলেছেন এটা তোমার সিদ্ধান্ত। মাশরাফি ভাইও মানা করেছেন। তবে আমি নেমেছি। আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল। মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’

এই হলেন তামিম ইকবাল। বড় ব্যাটসম্যান, বড় মানুষ এবং দলের জন্য বড় আত্মত্যাগকারী।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :