গ্রেনেড হামলা

খালেদার ভাগ্নে ও সাবেক তিন আইজিপি কারাগারে

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলায় জামিনে থাকা খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও সাবেক তিন আইজিপিসহ আট আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

যুক্তি উত্থাপনের শেষ দিন মঙ্গলবার আদালতে হাজির হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। এছাড়া বহুল আলোচিত এই মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর আসামিপক্ষে এসএম শাহজাহান আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

এদিকে কারাগারে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া হাজির হন জামিনে থাকা আসা‌মি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম। পরে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন এবং জামিনে থাকা আট আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রায়ের তারিখ ধার্য করার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় মোট ১২৯ দিন যু‌ক্তি উপস্থাপন করা হয়। এর ম‌ধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ২৯ দিন এবং আসা‌মিপক্ষ ৯০ দিন যুক্তি উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘আজআসামিপক্ষ থেকে আইনগত যুক্তিতর্ক শেষ করেছে। যুক্তিতর্ক শেষে আমরা রায় এবং আদেশ প্রদান পর্যন্ত জামিন বাতিলপূর্বক আট আসামিকে আটক রাখার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলাম। প্রতিপক্ষের বন্ধুরা জামিন বহাল রাখার জন্য আবেদন করেছিল। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন বাতিল করে হাজতে রাখার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন।’

মামলার অভিযোগ প্রমাণে চার্জশিটের ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন।

এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে কার্যকর হয়।

এছাড়া ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফলে বর্তমানে মামলার আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এসব আসামির মধ্যে ১৮ জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এমএবি/এমআর