ভারতে তিন তালাক শাস্তিযোগ্য,অধ্যাদেশ জারি

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

তাৎক্ষণিক তিন তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) পাস করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বিরাট পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, তালাক-ই-বিদ্দত বা তাৎক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে শীতকালীন অধিবেশনেই বিল পাস করেছিল লোকসভা। কিন্তু রাজ্যসভায় বিলটি আটকে যাওয়ায়, তা আর আইন হয়ে উঠতে পারেনি। রাজ্যসভায় বিলটির 'ফৌজদারি অপরাধ' নিয়েই মূলত আপত্তি জানায় বিরোধীরা।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ  এ খবর জানান।

অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। লোকসভা ভোটের মুখে অধ্যাদেশ জারি করে বিজেপি মুসলিম সম্প্রদায়ের মন জয়ের চেষ্টা করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সুপ্রিম কোর্ট আগেই তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। শীর্ষ আদালতের রায়কে মর্যাদা দিতেই তৈরি হয় মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ) বিল ২০১৭। গত বাদল অধিবেশনেই লোকসভায় পেশ হয় সেই বিল। পাসও হয়ে যায়। কিন্তু বিরোধীরা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে। এছাড়াও আরও কিছু জটিলতায় শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভায় পেশ হয়নি এই বিল। তাই এ বার অধ্যাদেশ জারি করে তিন তালাককে আইনি স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র।

অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী, এখন শুধু রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই বাকি। তারপরই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।

তবে সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে সংসদের উভয় কক্ষেই অধ্যাদেশ পাস করাতে হয়। সেটা সম্ভব না হলে আবার নতুন করে জারি করতে হয় অধ্যাদেশ। লোকসভা ইতিমধ্যেই পাস করেছে। এবার শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পাস হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন আইনের ফলে তিন তালাকের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তার তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করতে হবে। পুলিশ চাইলেও অভিযুক্তকে জামিন দিতে পারবে না, এ এখতিয়ার থাকছে কেবলমাত্র বিচারকের।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এসআই)