আইনি পথে খালেদার মুক্তি ভুলে যেতে বললেন মওদুদ
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে নেতাকর্মীদের আইনি প্রক্রিয়া ভুলে যেতে বললেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই কেবল তার মুক্তি সম্ভব। আর এ জন্য নতুন কর্মসূচি দেবেন তারা।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপিপন্থী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএবি)আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বলেন তিনি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপি নেত্রী। এই মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলার কারণে মু্ক্তি হচ্ছে না তার। এর মধ্যে অন্য মামলায় তার বিচারের জন্য কারাগারেই বসানো হয়েছে আদালত।
নিম্ন আদালতের ওপর সুপ্রিম কোর্টের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই দাবি করে এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘নিম্ন আদালতকে সরকার রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। এ কারণে সাত মাস হয়ে গেল, কিন্তু খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পরেননি। আমাদের আইনজীবীরা এমন কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেই যা অনুসরণ করিনি। কিন্তু এরপরও সরকার ও নিম্ন আদালতের সঙ্গে আমরা জয়লাভ করতে পারিনি। কারণ, সরকার চায় না খালেদা জিয়া মুক্ত হোক।’
সরকার কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় না- এর কারণ হিসেবে মওদুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্ত হলে বাংলাদেশে যে গণজোয়ার আসবে, সেটা তারা (সরকার) ঠেকাতে পারবে না। সে কারণেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হয় নাই। সুতরাং এখন আইনি প্রক্রিয়ার কথা কিছুটা ভুলে যেতে হবে, এখন খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ হলো রাজপথ। রাজপথেই এর মোকাবিলা করে তার মুক্তি অর্জন করতে হবে।’ সে জন্য তারা প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান মওদুদ। বলেন, ‘নতুন করে কর্মসূচি দেব। সেই কর্মসূচির সঙ্গে আগামী দিনের রাজনীতি, ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার অধিকার জড়িত।’ রাজপথে আন্দোলনের জন্য সবাইকে তৈরি থাককার তাগিদ দেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমাদের বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এগিয়ে যেতে হবে এবং এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য। এটা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্য কোনো পথ নাই।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় সভায় আর উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রেয়াজুল ইসলাম রিজু, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, ডিইএবির উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। (ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/বিইউ/মোআ)