নাশকতার মামলায় সোহেল ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪২ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

ডিবি পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিম দক্ষিণের এসআই আব্দুল করিম আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৩০ জানুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বকশিবাজারের আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার সময় তার গাড়ি শাহবাগ থানাধীন কদমফুল ক্রসিংয়ে পৌঁছালে চারদিক থেকে বিএনপির নেতাকর্র্মীরা মিছিল-¯েøাগানসহ এসে রা¯Íায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশ বাধা দিলে ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং যানবহন ভাঙচুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, ওই সময় আসামি সোহেল অজ্ঞাতনামা আসামিদের নিয়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে থাকা আসামি ওবাইদুল হক নাসির ও করিম সরকারকে প্রিজনভ্যান ভাঙচুর করে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
অন্যদিকে আসামি সোহেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোলেহ উদ্দিন জসিম, ওমর ফারুক ফারুকী  ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ প্রমুখ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।  শুনানীতে তারা বলেন, আসামি শারীরিকভাবে অসুস্থ। যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয় তাহলে জেলগেটে যেন  জিজ্ঞাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সোহেলকে আটক করা হয়।
প্রায় ১১০টি মামলার আসামি বিএনপির এ নেতা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে ৪০টি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ ওই সব মামলায় তিনি জামিনে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বের হওয়ার পরই তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর ওই বছর ৭ মার্চ তাকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ওই মামলায় জামিন পেয়ে ওই বছর ২২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/মোআ)