বাকৃবি ভিসি কার্যালয়ে হট্টোগল, দুইজনকে বরখাস্ত

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৫১

বাকৃবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ছয়জন কর্মকর্তাকে কারণদর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপাচার্যের আদেশক্রমে বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে এরূপ কর্মকাণ্ডের লিখিতভাবে কারণদর্শাতে বলা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- শিক্ষাবিষয়ক শাখার কর্মচারী মো. মোশারফ হোসেন, কর্মকর্তা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান টিটু। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল বাসার আমজাদ, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. খাইরুল আলম নান্নু, মো. আবদুল বাতেন, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের মোহাম্মদ মোস্তাইন কবীর সোহেল, সংস্থাপন শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আশিকুল আলম বাচ্চু ও খামার ব্যবস্থাপনা শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীনকে কারণদর্শানোর নোটিশ দেয় প্রশাসন।

নোটিশে বলা হয়, গত সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, রেজিস্টার ও সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে লক্ষ করে আঙ্গুল উচিয়ে অকথ্য ভাষায় কটূক্তি করে এবং অশালীন শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রাশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং উপাচার্যের সাথে দুর্ব্যবহার করে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও গুরুতর অপরাধ। নোটিশে ওই একজন কর্মচারী এবং সাতজন কর্মকর্তাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কারণদর্শাতে বলা হয়েছে।

এদিকে প্রশাসনের কারণদর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পর অফিসার পরিষদের নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে মিছিল নিয়ে হিসাব সংরক্ষণ শাখা, প্রকৌশল শাখা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এদিকে প্রশাসন ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকায় সেখানে তালা দিতে ব্যর্থ হয় কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে ক্যাম্পাসে মিছিল করে কর্মচারীরাও।

এদিকে কারিগরি কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ না করায় কারিগরি কর্মচারীদের ধাওয়া দেয় কর্মচারী পরিষদের নেতারা। এতে কারিগরি কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবদুল মোত্তালেব ও সাধারণ সুলতান মাহমুদ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০-৩৫ জন অফিসার পরিষদের নেতারা বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হঠাৎই প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তারা তাদের চলমান দাবি নিয়ে উপাচার্যের সাথে কথা কাটাকাটি ও গালিগালাজ করতে শুরু করে। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান অফিসারদের সবাইকে হট্টগোল না করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কথা বলতে ও আলোচনায় বসার কথা বলেন। এতে করে তারা আরও ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ উপাচার্যের সামনেই উপ-উপাচর্যের দিকে তেড়ে যায় এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)