নড়িয়ায় নদী ভাঙন: শিগগির ত্রাণ বিতরণ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৫৭

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নড়িয়া নদী ভাঙন নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিসি বলেন, জেলার নড়িয়া-জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর তীর ২০০৯-১০ সাল থেকে ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন তীব্রতা বেড়ে যায় ২০১২-১৩ সালে থেকে। আর গত তিন বছর যাবত ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নড়িয়া উপজেলার পাঁচ হাজার ৮১ পরিবারকে ২৫৭ দশমিক ৮৫০ জিআর চাল, ১০ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩৭৫ পরিবারকে ৭৫০ বান্ডিল ঢেউ টিন, সাথে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ভূমি ধসে নদীতে ডুবে ২০ জনকে ২ লাখ টাকা, গৃহ নির্মাণ বাবদ ৯০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা উপবরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচটি গভীর নলকূপ ও ৫০টি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এমপি গত মঙ্গলবার বিকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের জন্য ৫ হাজার ২০০ বান্ডিল টিন, গৃহ নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, নগদ ৫০ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিকটন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেন। যা শিগগিরই বিতরণ করা হবে। এছাড়া ৫ হাজার ৮১ পরিবারের মাঝে আগামী চার মাস ৬০৯ দশমিক ৭২ মেট্রিকটন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাকাব্বীর আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, জেল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক হাসানসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুরে নড়িয়া পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত তিন মাসে ৫ হাজার ৮১ পরিবার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা আগের তুলনায়  কিছুটা কমলেও এখনো থেমে থেমে ভাঙছে পদ্মার পাড়। পদ্মা নদীর পানিতে বড় বড় ঘূর্ণি পাকের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা আবারো যেকোন সময় আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে পদ্মা। ভাঙন আতকে পদ্মা পারের মানুষ এখনো গাছ পালা কেটে ও স্থাপনা অনত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ফেলে তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)