‘গাঙচিল’র মহরতে মন্ত্রীদের মেলা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৬ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪৩

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

কিছুদিন আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘গাঙচিল’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। তাতে সম্মতি জানিয়েছিলেন মন্ত্রী কাদেরও। বুধবার দুপুরে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মহরত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ছবি নির্মাণের সেই কার্যক্রম।

এই মহরত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে উপস্থিত থাকবেন সেটা বলাই বাহুল্য। কেননা, তার লেখা উপন্যাস থেকেই তো নির্মিত হবে ছবিটি। কিন্তু শুধু ওবায়দুল কাদেরই নন, ‘গাঙচিল’-এর মহরত অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে দেখা মিলেছে আরও তিন মন্ত্রীর। তারা হলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

এদিকে মহরত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা থেকে উড়ে এসেছিলেন চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আরও ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা দুই তারকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমাসহ ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালক-প্রযোজক সকলেই। মোট কথা চার মন্ত্রী, নায়ক-নায়িকা এবং পরিচালক-প্রযোজকদের আগমনে ‘গাঙচিল’ ছবির মহরত অনুষ্ঠান ছিল জাঁকজমকপূর্ণ।

কলকাতার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং বাংলাদেশের ফেরদৌস-পূর্ণিমা, তিন জনই ‘গাঙচিল’ ছবিতে কাজ করছেন। গত আগস্টের শেষ দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অক্টোবরের শুরু দিকে ঢাকায় পাঁচ দিন এবং একই মাসের শেষ দিকে নোয়াখালীতে এ ছবির টানা শুটিং হবে। মহরত অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল ।

নতুন এ চলচ্চিত্র নির্মাতার দ্বিতীয় ছবি হতে যাচ্ছে ‘গাঙচিল’।  এর আগে তিনি ফেরদৌস ও মৌসুমী অভিনীত ‘এক কাপ চা’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। তার দ্বিতীয় ছবি ‘গাঙচিল’-এ থাকবে নোয়াখালীর একটি চর এবং সেখানকার মানুষের জীবনের গল্প। যেমনটি রয়েছে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাসে। উপন্যাসটি এরই মধ্যে যারা পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই এ সম্পর্কে অবগত।  

ছবি সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আজ যে ছবির মহরত হচ্ছে, তাতে একটি দ্বীপের মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দের গল্প আছে। গল্পটি পরিচালক কীভাবে ফুটিয়ে তুলবেন, তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে এটা বলতে পারি, যার হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে, তিনি একজন দক্ষ ব্যক্তি।’

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বড় পর্দা বিশাল ব্যাপার। বাংলা ছবির দর্শক হলো মা-মেয়েরা। একটা সময় ছবি দেখে দর্শক চোখ মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরতেন। এখন পরিবেশ না থাকায় তারা প্রেক্ষাগৃহে যেতে পারেন না। শুধু মারদাঙ্গা গল্প হলে ছবি চলে না। ছবিতে জীবনের গল্প থাকতে হয়। ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি জীবনের গল্প নিয়ে এসেছেন।’

প্রসঙ্গত, কোনো সংসদ সদস্যের লেখা উপন্যাস নিয়ে ছবি নির্মাণের ঘটনা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম। যেটার সূচনা করলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার লেখা ‘গাঙচিল’ উপন্যাসটি ২০১৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’, ‘পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু’, ‘তিন সমুদ্রের দেশে’, ‘মেঘে মেঘে অনেক বেলা’সহ গোটা দশেক বই লিখেছেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/২০ সেপ্টেম্বর/এএইচ