ভোটে পুলিশ কী করবে, তা স্পষ্ট: সংঘর্ষের পর সাকি

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:২৯ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাম গণতান্ত্রিক জোটে পুলিশের বাধা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করেছেন জোটের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি। বলেছেন, ভোটের সময় পুলিশের আচরণ কেমন হবে, সেটা প্রকাশ হয়েছে হামলার ঘটনায়।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে যাওয়া জোটের নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশের পিটুনির পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন বাম নেতা।

‘জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ নিশ্চিত করতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও’ করতে যায় আট বাম দলের মোর্চা বাম গণতান্ত্রিক জোট। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যাচ্ছিল নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে কারওয়ানবাজার এলাকায় ঘটে হাঙ্গামা।

পুলিশ অভিযোগ করছে, বাম জোটের কর্মীরা বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা করেছে। একই অভিযোগ করেছে বাম কর্মীরাও।

৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে অভিযোগ করে সাকি বলেন, ‘নির্বাচনে পুলিশের ব্যবহার কেমন হবে, আজকে তার দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে।’

‘আপনারা আজকে পুলিশের ব্যবহার দেখতে পেলেন। নির্বাচনের আর প্রায় সাড়ে তিন মাস বাকি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাবে। তাতে এই পুলিশ কীভাবে বাধাগ্রস্ত করছে, তার নমুনা আপনারা দেখেছেন।’

‘এই সরকারের পুলিশ বাহিনী নির্বাচনের সাড়ে তিন মাসে আগে যে আচরণ দেখাচ্ছে, তাতে এটা স্পষ্ট এখানে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ নাই’-বলেন বাম নেতা।

বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না উল্লেখ করে সরকারের পদত্যাগ, ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিলের দাবি জানান সাকি।

বামগণতান্ত্রিক জোট দেশের জনগণকে মেনে নিয়ে এই লড়াই আরও জোরদার করবে জানিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারিও দেন বাম নেতা। বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। আমরা বলেছি, জামায়াত বাদে একটা নতুন রাজনৈতিক সনদ দরকার। কীভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিটা হবে।’

‘আজকে সরকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। কাজেই জনগণের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না।’

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিও জানানো হয় জোট নেতাদের সমাবেশে।

এই ‘হামলার’ প্রতিক্রিয়ায় বিকালে জোটের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে জানিয়ে সাকি বলেন, ‘বৈঠকে আমরা হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

এর আগে প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাম জোটের নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে তদারকি সরকার গঠন করতে হবে।  জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে নির্ভয়ে দিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খানও উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/জেআর/ডব্লিউবি)