দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন রশিদ

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:১৮ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:১১

দেলোয়ার হোসেন, দুবাই থেকে

সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ১৬০। সেই আফগানিস্তানের স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ৭ উইকেটে ২৫৫ । শেষ দিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন দুই বোলার রশিদ খান ও গুলবুদ্দিন নাইব। ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন সাকিব। আর ৩২ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করার পর বল হাতেও বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন রশিদ খান ।আফগানদের আসল শক্তিই এই চ্যাম্পিয়ন স্পিনার। আবুধাবির উইকেট বেশ স্পিন সহায়কও মনে হচ্ছে।

এশিয়া কাপে কাল থেকে সুপার ফোরের আসল লড়াই। আবুধাবিতে আজ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান গ্রুপের শেষ ম্যাচটার কোনো গুরুত্ব নেই টুর্নামেন্টের বিচারে।তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে একটা গুরুত্বও তো থাকেই। গুরুত্ব আছে অন্য হিসেবেও।

সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান বাংলাদেশের নয়া প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে আফগানদের কোনোরকম ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই বছর ভারতের মাটিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল টাইগাররা। সেখানে আফগানরা হোয়াইট ওয়াশ করে ছেড়েছে বাংলাদেশকে।

আফগানিস্তানের বিশ্বমানের দুই স্পিনার রশিদ খান, মুজিবর রহমান ওই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিধ্বস্ত করে ছেড়েছেন। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ রান করতে পেরেছিল যথাক্রমে ১২২, ১৩৪ ও ১৪৪।

শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে তাই এ ম্যাচটাও সিরিয়াসলি না নিয়ে উপায় নেই। আফগানদের বিপক্ষে আবারও হারলে ইমেজ সঙ্কটে পড়তে হবে দলকে।

আবুধাবিকে বল হাতে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশ। জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজের জায়গায় খেলতে নামা আবু হায়দার রনি। এরপর শুরু হয় সাকিব আল হাসানের স্পিন জাদু। ওপেনার শাহজাদ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হাসমতুল্লাহ শহিদি ছাড়া কেউ বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি সাকিব-রনির তোপে।

২০০ রানের মধ্যে আফগানদের বেঁধে ফেলার সুযোগ তৈরী হয়েছিল। ১৬০ রানে পড়ে গিয়েছিল ৭ উইকেট। কিন্তু এরপরই হতাশা। গুলবুদ্দিন নাইব ও রশিদ খান মিলে বাংলাদেশের বোলিং তছনছ করে দিলেন শেষ দিকে। অষ্টম উইকেটে ৯৫ রান যোগ করে দলের  স্কোর ২৫৫ এ পৌঁছে দেন তারা।

শহিদির ব্যাট থেকে্ এসেছে সর্বোচ্চ ৫৮ রান। শাহজাদ করেন ৩৭ রান। ৩২ বলে ৫৭ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। আর ৩৮ বলে ৪২ রান করেন নাইব। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব। ৪২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। আবু হায়দার রনি নেন দুই উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান ইনিংস: ২৫৫/৭ (৫০ ওভার)

(মোহাম্মদ শাহজাদ ৩৭, ইহসানুল্লাহ ৮, রহমত শাহ ১০, হাশমতউল্লাহ শহীদি ৫৮, আসঘার আফগান ৮, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ১৮, মোহাম্মদ নবী ১০, গুলবদিন নাইব ৪২*, রশীদ খান ৫৭*; রুবেল হোসেন ১/৩২, আবু হায়দার রনি ২/৫০, মেহেদী হাসান মিরাজ ০/২১, মাশরাফি বিন মুর্তজা ০/৬৭, সাকিব আল হাসান ৪/৪২, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ০/১৮, মুমিনুল হক ০/১৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ০/৫)।

(ঢাকাটাইমস/২০ সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)