কোটালীপাড়ায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার দুই
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রথম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার সালিশ মিমাংসা করায় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার উপজেলার হরিনাহাটি গ্রামের মৃত. মোফাচ্ছের মোল্লার ছেলে সালাম মোল্লা (৪৮) তার বাড়ির পাশের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে সালাম মোল্লা পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য আলম গাজী শুক্রবার রাতে সালিশ দরবারের মাধ্যমে সালাম মোল্লাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে।
ভুক্তভোগীর মাকে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয়। পরে ওই ছাত্রীর মা এই সালিশ মিমাংসায় সন্তুষ্ট না হয়ে শনিবার কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধর্ষণ চেষ্টাকারী সালাম মোল্লা ও মিমাংসাকারী আলম গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, ধর্ষণ চেষ্টা মামলা এভাবে মিমাংসা হওয়ার কোনো বিধান নেই। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার সালাম মোল্লা ও আলম গাজীকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর)