খালেদার মুক্তি চেয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ: আ.লীগ

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৪২

তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

জোট গঠনের রাজনীতিকে ইতিবাচক হিসাবে নিলেও কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র সূচনাতে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ওঠায় তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, শনিবারের সমাবেশের পর মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা হতে পারে। এমন চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে সতর্ক করেছেন তারা।

শনিবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশ থেকে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবি তোলা হয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন কিছু রাজনীতিককে নিয়ে চক্রান্ত করতে নেমেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দেশে দুই ধারার রাজনীতি চলছে, আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামীবিরোধী। জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে এখানে আওয়ামী লীগবিরোধীরা এক হয়ে ষড়যন্ত্র করছেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নাগরিক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া জাতির কাছে আবেদন হারিয়ে ফেলেছে। তারা যে সরকারের বিরুদ্ধে, নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।’

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘জোট গঠন প্রক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবেই দেখে আসছিল আওয়ামী লীগ।  জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে নাগরিক সমাবেশে বিএনপির নেতাদের উপস্থিতি ও তাদের দাবি পর্যালোচনা করলে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়।’

আওয়ামী লীগের অপর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে জাতির কাছে একটা বার্তা পৌঁছে গেছে। জোট গঠনের অন্তরালে ষড়যন্ত্রও রয়েছে।’

সমাবেশ থেকে ওঠা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিরউদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং তফসিল ঘোষণার পূর্বে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়া।

ঘোষণায় বলা হয়, ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ‘অগ্রাহ্য, ব্যাহত ও অকার্যকর করে অন্যায়ভাবে’ কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত’ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার করতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেয়ার দাবিও করা হয়েছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না-এমন দাবিও জানানো হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/টিএ/ ইএস