রংপুরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪৪

রংপুর ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস

রংপুরে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। তীব্র গরমে নেই বাতাস, নেই বৃষ্টি, ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস যেন লু-হাওয়া।

বাইরের অবস্থা আরও ভয়াবহ। রোদের তাপ আর গরমে শ্রমজীবী মানুষদের যেন নিস্তার নেই। ঘেমে নেয়ে একাকার, যেন নাভিশ্বাস উঠছে নগরবাসীর। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের।

নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই গরমে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। সন্ধ্যার পর থেকে যেন গরম আরও বেড়ে যায়।

গরমে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে পানিজাতীয় জিনিস যেমন সুপেয় পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় গরম পড়ছে বেশি। এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। কবে নাগাদ এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও নিশ্চিত নন তিনি।

আবহাওয়াবিদ জানান, সাগরে নিম্নচাপ এবং আকাশে মেঘ দেখা দিলে গরম কবে যাবে। লঘুচাপ না থাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এই অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ এই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

অনেকে গরম থেকে বাঁচতে ডাব, শরবতসহ বিভিন্ন পানীয় পান করছেন। গরমে পেটের পীড়া, জ্বরসহ ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার রংপুরে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৩.৫ আর সর্বনিম্ন ছিল ২৫. ৫। বৃষ্টিপাত না হওয়া, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরম বেশি লাগছে। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই সময়ে তাপমাত্রা বেড়েছে।

গরমে রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে করণীয় সম্পর্কে রংপুর সিভিল সার্জন ডা. জাকিরুল ইসলাম লিটন বলেন, গরমে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। এ কারণে মশার উপদ্রপ বেড়েছে। মশার কারণে জ্বরও হতে পারে। ডায়রিয়া, আমাশয়ের মতো রোগ হতে পারে। এছাড়া হঠাৎ করে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কল-কারখানায় যারা কাজ করেন, রোদে রাস্তাঘাটে বের হন তারাও নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।  এজন্য সচেতন থাকতে হবে। গরম থেকে বাঁচতে ডাবের পানি, বাসায় তৈরি শরবত ও ওরস্যালাইন খাবার পরামর্শ দেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/আরআই/জেবি)