আরও দুই আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার দুইটি তুলে দেওয়া হবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। দুই দিন তিনি লন্ডনে যাত্রাবিরতি নেন। রবিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন। জাতিসংঘ অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী ১ অক্টোবর সকালে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় তার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’প্রদান করবে।

পাশাপাশি গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করবে।

চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল নারীর ক্ষমতায়নে আসামান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্লোবাল উইম্যান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’পান।

গত আট বছর এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদসহ সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোট ২৭টি পুরস্কার পেয়েছেন শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ।

এসব পুরস্কারের মধ্যে শেখ হাসিনা চারটি পেয়েছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে। এর মধ্যে আছে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি করায় ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক হাটপাওয়েট-বোজনি পুরস্কার, শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে ২০১০ সালে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য পরের বছর সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পাওয়া চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের মিডটাউনের হোটেল হিলটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বশান্তি, নিরাপদ অভিবাসন, ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থসামাজিক অর্জন তুলে ধরবেন। একই দিন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন এবং সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এ বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ‘মেকিং দি ইউনাইটেড নেশন্স রিলেভেন্ট টু অল পিপল: গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যান্ড শেয়ারড রেসপনসিবিলিটিস ফর পিসফুল, ইকুইট্যাবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল সোসাইটিজ।’

ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/ডিএম