খালেদার চিকিৎসা নিয়ে রিটের শুনানি ১ অক্টোবর

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৪০ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বেসরকারি ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত কোনও হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি নিয়মিত শুনানির জন্য ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে হাই কোর্ট।

মঙ্গলবার রিট আবেদনের আংশিক শুনানির পর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিশেষায়িত কোনও হাসপাতালে বিশেষ করে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানির এক পর্যায়ে আদালত খালেদার আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, ‘আপনারা কি রুল চান?’

তখন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শুনানি শেষে আমরা আদালতের কাছে একটা আদেশ চাই।’

আদালত তখন বলে, ‘এখন তো ভ্যাকেশন কোর্ট, অল্প সময় কোর্ট চলবে। আপনাদের এটা বিস্তারিত শুনতে গেলে অন্য আইনজীবীদের মেটারগুলো শোনা হবে না।’

তখন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপাসনের চিকিৎসার বিষয়টিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বিরোধিতা না করলেই তো এখনই একটা অর্ডার দিতে পারেন।’

তখন আদালত বলে, ‘আপনারা যে প্রক্রিয়ায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তো রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা উভয়পক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনব। এজন্য ১ অক্টোবর শুনানির জন্য রাখছি।’

শুনানি শেষে মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতে আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। আদালত এ বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত বক্তব্য ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনবেন বলে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ১ অক্টোবর তারিখ রেখেছেন।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী রাজধানীর কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানায়।

এরপর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তারা ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে কারাগারে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসেন। পরেরদিন খালেদার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানায় মেডিকেল বোর্ড। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তির পরামর্শও দেয়া হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর এপ্রিলে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনা হয়েছিল পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। পরে আরও একবার এখানে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বেঁকে বসেন বিএনপি নেত্রী। জানান ইউনাইটেড ছাড়া অন্য কোথাও যাবেন না তিনি।

সরকার সে সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তাব দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানেও যাননি তিনি।

ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/ডিএম