চার দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩১

যশোরের বেনাপোলে বন্দর দিয়ে গত চার দিনেও চালু হয়নি দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য।

মঙ্গলবার বিকালে দু’দেশের ব্যবসায়ী, বন্দর শ্রমিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আমদানি রপ্তানি চালু করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেও ভারতের বনগাঁও পৌর মেয়র ডাকুর হস্থক্ষেপে তা বাতিল হয়ে যায় সন্ধ্যায়।

ধর্মঘটের কারণে গত চার দিনে সরকার ১৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আমদানি-রপ্তানি পন্যবোঝাই কয়েক হাজার ট্রাক আটকা পড়েছে। বেনাপোল বন্দর এলাকায় এক কি.মি. জুড়ে রপ্তানি পল্যবোঝাই ট্রাক প্রধান সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় থেকে বন্দর এলাকায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি করেছে। বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ’র কাঁচামাল আটকা পড়েছে। ফলে কাচামালের অভাবে অধিকাংশ শিল্প কলকারখানা উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাসের ও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে আজও।

দুই দেশের বন্দর এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে স্টপ জটিলতার কারণে ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকরা গত শনিবার থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বনগাঁও পৌর মেয়রের যোগসাজসে কিছু লোকাল ট্রাক মালিক ও শ্রমিকনেতা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অজুহাতে আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে ট্রাক জট সৃষ্টি করে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা করে ডেমারেজ চার্জ আদায় করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। ডেমারেজের পুরো টাকা বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছ থেকে কেটে নেয়া হয়।

ফলে এক ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে সময় লাগত ১৫/২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতো। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ থেকে ৬শ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় ভারতে থেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৩শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।

ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, গত সপ্তাহ থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে কোনো ট্রাকজট না থাকায় ট্রাকগুলো দিন দিন প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। সে কারণে ভারতীয় ট্রাকমালিক ও শ্রমিকরা কোনো ‘ডেমারেজ চার্জ’ পাচ্ছেন না। ফলে পরিকল্পিতভাবে বনগাঁও পৌর মেয়রের সহায়তায় ক্ষোভে পড়ে তুচ্ছ ঘটনায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে সরকার প্রতি বছর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। ভারতীয়রা প্রায়শই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঘন ঘন আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :