সাতক্ষীরায় গৌতম হত্যা মামলা চারজনের ফাঁসি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৫৩

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র গৌতম হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে এ মামলার ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কাঁঠগাড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আলী আহম্মেদ শাওন, ভাড়খালি গ্রামের আব্দুল করিম মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন, মহাদেবনগর গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে সাজু শেখ ও নাজমুল হোসেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওমর ফারুক, নূর আহম্মেদ মুক্ত, মহসিন আলী, কবিরুল ইসলাম মিঠু, জামসেদ আলী ও ফিরোজা খাতুনকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের মহাদেবনগর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গনেশ সরকারের ছেলে সীমান্ত ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গৌতম সরকারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির পাশে মোকলেছুর রহমানের নির্মাণাধীন বাড়িতে হত্যা করা হয়।

পরে লাশের শরীরে দড়ি দিয়ে ১২টি ইট ঝুলিয়ে পার্শ্ববর্তী মোকলেছুর রহমানের পুকুরে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা গনেশ সরকার বাদী হয়ে আলী আহম্মেদ শাওন, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু শেখ, নাজমুল হোসেন, মুহসিন আলী ও কবিরুল ইসলাম মিঠুর নামে ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন ওমর ফারুক, নূর আহম্মেদ মুক্ত ও জামসেদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি সম্পূরক অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাজমুল, শাহাদাৎ ও সাজু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ ঘটনায় পুলিশ সাজু শেখের মা ফিরোজা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর সম্পূরক অভিযোগটি আদালতে পাঠানো হয়।

সদর থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে মামলাটির তদন্তভার ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলামের কাছে ন্যস্ত করা হয়।

পরে একই বছরের ১৮ এপ্রিল উপরিউক্ত ১০ আসামির নামে আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করেন তিনি। ২০১৮ সালের পহেলা মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে উল্লিখিত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া বাকী ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস জানান, রায় ঘোষণার সময় শাহাদাৎ হোসেন ও নাজমুল হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। তবে আলী আহম্মেদ শাওন ও সাজু শেখ পলাতক রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :