ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের পুঁজি ২৩৯

মুশফিকের ৯৯, মিথুনের ৬০। তবু হলো না বড় স্কোর। শুরুর বিপর্যয়ের অনুরুপ শেষে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পুঁজি ২৩৯। ফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে আটকাতে হবে এর আগেই। বোলারদের সামনে তাই চ্যালেঞ্জটা বড় হয়ে গেল।

এশিয়া কাপে বুধবার সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।

বুধবার আবুধাবির শেষ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৯৯ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ওয়ানডেতে এটি তার ৩০তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬০ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশত। অন্যদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২৫ রান। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে জুনায়েদ খান নয় ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে চারটি উইকেট শিকার করেন। অন্যদের মরেধ্য শাহীন শাহ আফ্রিদি ২টি, হাসান আলী ২টি ও শাদব খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। দলীয় পাঁচ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জুনায়েদ খানের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ হন সৌম্য সরকার। পাঁচ বলে শূন্য রান করেন তিনি। চতুর্থ ওভারে শাহীদ শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন মুমিনুল হক। চার বলে পাঁচ রান করেন তিনি। পঞ্চম ওভারে জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হন লিটন দাস। ১৬ বল খেলে ছয় রান করেন তিনি।

দলীয় ১২ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হওয়ার পর মুশকিফুর রহিম ও মোহাম্মদ মিথুন দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। দুজনে ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে বোলার হাসান আলীর হাতে ধরা পড়েন মিথুন। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬০ রান। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশত।

দলীয় ১৯৭ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মুশফিকুর রহিম। দলের রান যখন ২২১ তখন জুনায়েদ খানের বলে শান মাসুদের হাতে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ৪৮তম ওভারে জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৯তম ওভারে রান আউট হন রুবেল হোসেন। আর ফখর জামানের হাতে ক্যাচ হন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

এই ম্যাচে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। একাদশে নেই সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাজমুল ইসলাম অপু। একাদশে ঢুকেছেন সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক ও রুবেল হোসেন।

এর আগে সুপার ফোর পর্বে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দলই একটি করে জয় পায়। আফগানিস্তানকে তিন রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তানকে তিন উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ইনিংস: ২৩৯ (৪৮.৫ ওভার)

(লিটন দাস ৬, সৌম্য সরকার ০, মুমিনুল হক ৫, মুশফিকুর রহিম ৯৯, মোহাম্মদ মিথুন ৬০, ইমরুল কায়েস ৯, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৫, মেহেদী হাসান মিরাজ ১২, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৩, রুবেল হোসেন ১, মোস্তাফিজুর রহমান ০*‍; জুনায়েদ খান ৪/১৯, শাহীন শাহ আফ্রিদি ২/৪৭, হাসান আলী ২/৬০, মোহাম্মদ নওয়াজ ০/৩৯, শোয়েব মালিক ০/১৪, শাদব খান ১/৫২)।

(ঢাকাটাইমস/২৬ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)