বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৭৮ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী এনামুল হক। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ছাত্রদলের ছয় নেতাকর্মীকে দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ছাত্রদল নেতা নাজমুল ইসলাম, রাকিব হোসেন, আশিকুর রহমান ফাহিম, ইব্রাহীম, মেহেদী হাসান মিলন ও ইয়াসিন আরাফাত বাঁধন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়- বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতা শাহ আলমের নির্দেশে জনসাধারণের সেবা ও অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহের ক্ষতি, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত ও আইনশৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস দেশকে অস্থিতিশীল ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য আসামিদের সমাবেত করেছিলেন।

মামলায় আরো বলা হয়, ছাত্রদলের জেলার সভাপতি মশিউর রহমান রনির মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, পাওয়ার হাউজ, রেলপথ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, যানবাহন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেলের ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সশস্ত্র অবস্থায় মাহমুদপুর সাধু মাতবর রোডের মাথায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যানবাহনে ভাঙচুর চালায়।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ১০টি লাল কচটেপ পেঁচানো অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩০টি ৩ ফুট লোহার রড, ২৭টি ৪ ফুট বাঁশের লাঠি ও গাড়ি ভাঙার কাচের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে দেখিয়েছে পুলিশ।

মামলায় গ্রেপ্তার ছয় নেতাকর্মীসহ আসামি করা হয়েছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহআলম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান খোকা, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল কবির মামুন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার হুমায়ুন, ফতুল্লা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক সেলিম চৌধুরী কমল, ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল হোসেন পায়েল, থানা ছাত্রদল নেতা শাহজাহান, কায়েস আহমেদ পল্লব, জাবেদ, শরীফুল ইসলাম মানিক, অ্যাডভোকেট মাহাবুব, কাজী আরিফ, নূর মোহাম্মদ, নিলয়, সোহাগ, সোহেল, মোক্তার হোসেন, আরিফ, গাজী নূরে আলম, বোরহান উদ্দিন ব্যাপারী, ওয়ালি উল্লাহ খোকন, নজরুল, আমিনুল ইসলাম জুয়েল, রফিক, সাগর সিদ্দিকি, গিয়াসউদ্দিন লাভলু, এনামুলসহ অজ্ঞাত ১৪০ জন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির মুক্তির দাবিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংরোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের ছয়জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)