মিষ্টি ছেলেটাই খুবলে খেয়েছিল লক্ষ্মীকে

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৪

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জনপ্রিয় আমেরিকান টিভি সঞ্চালিকা পদ্মা লক্ষ্মী। যিনি এক সময় সালমান রুশদির স্ত্রী ছিলেন। লেখিকা হিসেবেও তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা একটি প্রবন্ধে তিনি নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া দুটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন। সেখানে উল্লেখ্য করেছেন, শিশু বয়সে ও যৌবনে কীভাবে তিনি যৌন হেনস্তা এবং ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

লক্ষ্মীর বর্তমান বয়স ৪৮। প্রথম ঘটনাটি প্রায় ৪১ বছর আগের। লক্ষ্মীর বয়স তখন মাত্র ৭ বছর। লেখিকার কথায়,  এক বছরের জন্য তাকে ভারতে দাদু ঠাকুমার কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মারাত্মক অশালীন ভঙ্গিতে এক ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করেছিলেন। এমনকি, লক্ষ্মীকে ওই ব্যক্তি তার যৌনাঙ্গে হাত দিতেও বাধ্য করেছিলেন। বিষয়টি পরে তিনি মা এবং সৎ বাবাকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি।

দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রথম ঘটনাটির ঠিক ৯ বছর পরের। লক্ষ্মী তখন ১৬ বছরের তরুণী, ভরা যৌবন। জীবিকার তাগিদে কাজ করতেন লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি শপিং মলে। সে সময় ২৩ বছরের এক কলেজ পড়ুয়া যুবক প্রেমের জালে ফাসান লক্ষ্মীকে। সুন্দর আর ফুটফুটে ছেলেটাকে দেখে তার সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া সেরে ফেলেন লক্ষ্মীও।

স্মৃতির গলি থেকে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যখন ঘুরতে যেতাম, ও গাড়ি পার্ক করে আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে আসতো। কোনও দিনও দেরি করে আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়নি। আমরা একটা পর্যায় পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলাম। ও ভালো করেই জানত, আমি ভার্জিন। এক বর্ষবরণের রাতে ওই যুবকের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় ওর ফ্ল্যাটেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’

লক্ষ্মী লিখেছেন, ‘পরের দিন সকালে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে আমার ঘুম ভাঙে। মনে হচ্ছিল, কেউ যেন আমার দুই পায়ের মধ্যে দিয়ে ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। সে আমার উপর শুয়ে ছিল। রাতে নেশা জাতীয় কিছু একটা খাইয়ে সেই মিষ্টি চেহারার ছেলেটাই আমাকে খুবলে খুবলে খেয়েছিল। ঘটনাটিকে আমি ধর্ষণই বলব।’

লক্ষ্মীর বক্তব্য, ‘জীবনের এই দুটি ঘটনা আমার জীবনে তীব্রভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এখন আমার মনে হয়, একজন ধর্ষককে আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাছাড়া এসব নিয়ে কথা বলে এখন কোনো লাভ নেই। এ কথা আগে স্বীকার করলে হয়তো কষ্ট কম হতো। তার থেকেও কম কষ্ট হতো, যদি বিষয়টা সে সময় কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারতাম।’

ঢাকাটাইমস/২৭ সেপ্টেম্বর/এএইচ