নম্বর পরিবর্তন না করে অপারেটর বদলে যে সুবিধা

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:২৩ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪০

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১ অক্টোবর থেকে মোবাইল ফোন নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (এমএনপি) করার সুযোগ চালু হচ্ছে। এই সুযোগের ফলে একজন গ্রাহক তার নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে চলে যেতে পারবেন।

এতে করে এক অপারেটরের নম্বর ব্যবহার করেই অন্য অপারেটরের কল রেট, ইন্টারনেট প্যাকেজসহ বিদ্যমান সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। ফলে টেলিকম অপারেটরগুলোর প্রতিযোগিতা বাড়বে। তারা গ্রাহক ধরে রাখতে বিভিন্ন অফার ঘোষণা করবে।  

একজন গ্রাহককে এই এমএনপি সুবিধা নিতে চলে তাকে ৫০ টাকা গুণতে হবে। আর একবার অন্য অপারেটরে গেলে, সেই অপারেটর থেকে ফিরে আসতে হলে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। 

এই সুবিধা চালুর ফলে গ্রাহক তার নম্বর ঠিক রেখেই যে অপারেটরের কল রেট ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেশি সেই অপারেটরে চলে যেতে পারবেন। 

এমএনপি নিতে কোনও গ্রাহক আবেদন করলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবা চালু হবে। আর পরবর্তী ৯০ দিন ওই গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না।

বিটিআরসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, এমএনপি  সেবা নিতে হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তার সিম কার্ড বদলাতে হবে। কোনো গ্রাহক তার অপারেটর পরিবর্তন করতে চাইলে যে অপারেটরে তিনি যেতে চান তাদের কাস্টমার সার্ভিসে যেতে হবে। সকল প্রক্রিয়া তারাই সম্পন্ন করে ওই অপারেটর তাকে নতুন সিম কার্ড দেবে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন সিমটি সক্রিয় হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এমএনপির জন্য গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের আন্তঃসংযোগ স্থাপন (ভিপিএন কানেক্টিভিটি) সম্পন্ন হয়েছে। টেলিটক বাদে অন্য অপারেটরগুলোর ‘কোয়েরি’ আদান প্রদান ও সিস্টেম সমন্বিতকরণ (ইন্টিগ্রেশন) প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

এমএনপির দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ান বলছে, এই সুবিধা চালুর ফলে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। যে অপারেটর গ্রাহকদের ভালো অফার ও সুযোগ সুবিধা দেবে গ্রাহকরা সেই অপারেটর এমএনপির মাধ্যমে কনভার্ট হয়ে যাবেন।

এমএনপি চালু হলে এক অপারেটরের নম্বরে অন্য অপারেটরের সংযোগ নেওয়া যাবে। গ্রাহক যে অপারেটরের সেবা পছন্দ করবে, বিনা দ্বিধায় সেই অপারেটরের সংযোগ নিতে পারবে। এ জন্য নিজের ফোন নম্বরটিও পাল্টাতে হবে না। এ সেবা প্রবর্তনের ফলে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গুণগত সেবা প্রদানের প্রতিযোগিতা এবং মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়

বর্তমানে বিশ্বের ৭২ টি দেশে এ সুবিধা চালু রয়েছে। ১৯৯৭ সালে সিঙ্গাপুরে এই সেবা চালু হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০১১ সালে এবং পাকিস্তানে উক্ত সেবা ২০০৭ সাল থেকে চালু রয়েছে।

অপারেটর পরিবর্তনে গ্রাহকদের সহযোগিতা দিতে ইতিমধ্যে টিকিটিং পদ্ধতির হেল্পডেস্ক চালু করেছে বিটিআরসি। এর পাশাপাশি ওয়েবসাইটে (www.infotelebd.com) প্রয়োজনীয় তথ্য মিলবে। 

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এজেড)