পূবালী ব্যাংকে ভুয়া হিসাব খুলে টাকা আত্মসাতে মামলা দুদকের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৭

কুড়িগ্রামে পূবালী ব্যাংকের একটি শাখায় ভূয়া হিসাব খুলে ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষক আমানুল্লাহ (৫৩) এর সহায়তায় সোহরাব আলী (৩৭) ও আজহারুল ইসলাম মানু (৫১) পরস্পরের যোগসাজসে ৫লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ উঠে।

অভিযোগের ভিত্তিতে রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারি পরিচালক নুর আলম কুড়িগ্রাম সদর থানায় বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সান ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটার হিসেবে জাল লাইসেন্স করে উলিপুর উপজেলার কিশামত মধুপুর খামার গ্রামের এছহাক আলীর ছেলে সোহরাব আলী প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার পরিচয়ে কুড়িগ্রাম পূবালী ব্যাংকে একটি ভূয়া হিসাব খুলেন।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কাছ থেকে চেক নং-৭৩৮৪৩৭ এর বিপরীতে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকা ওই একাউন্টে জমা করেন। পরে একই তারিখে পুরো টাকা উত্তোলন করে তার চাচাতো ভাই আজহারুল ইসলাম মানুকে দেন।

নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ডিগ্রি কলেজ ভবণ নির্মাণ কাজের জন্য জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জোন মেসার্স সান ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে কার্যাদেশ দেয়। উক্ত কাজের বিপরীতে সান ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী শাহ আলম যমুনা ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেন।

কচাকাটা ডিগ্রি কলেজের কাজ শেষ হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধের জন্য সুপারিশ করলে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যমুনা ব্যাংকের ঢাকার মালিবাগ শাখায় সান ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা হিসাব নম্বরে সমস্ত বিল পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্র দেয়।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক আমানুল্লাহ সকল বিল পরিশোধ করলেও নবম বিলের ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০০টাকা কাজ সমাপ্তের পর যমুনা ব্যাংক মালিবাগ শাখার নাম উল্লেখ না করে শুধুমাত্র সান ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নাম উল্লেখ করে বিল পাশ করে।

পরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক আমানুল্লাহ উপরোক্ত চেকটি সোহরাব আলীর চাচাতো ভাই আজহারুল ইসলাম মানুকে দেয়।

সোহরাব আলী, আজহারুল ইসলাম ও হিবাবরক্ষক আমানুল্লাহ পরস্পর যোগসাজসে ভূয়া হিসাবের মাধ্যমে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ব্যাপারে আজহারুল ইসলাম মানু জানান, আমার ভাই সোহরাব আলীর পরামর্শে কুড়িগ্রাম পুবালী ব্যাংকে মেসার্স সান ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ভূয়া একাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেখানে আমি সনাক্তকারী ছিলাম।

রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহাকারি পরিচালক নূল আলম জানান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় কুড়িগ্রাম থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি তদন্তের ব্যবস্থা করবে।

ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :